নিজস্ব প্রতিবেদক : অবতক খবর : ময়নাগুড়ি : একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর পরেই বার বার উত্তেজনা দেখা গেলো ময়নাগুড়ি জুড়ে। রবিবার রাত থেকে সোমবার পর্যন্ত ময়নাগুড়ি ব্লকের চূড়াভান্ডার গ্রাম পঞ্চায়েতের চর চূড়াভান্ডার এলাকার সেন পাড়া, জাবরামালি, বাসারতের বাড়ি, সাপ্টি বাড়ি ১ ও ২, ব্রহ্মপুর সহ বেশ কিছু এলাকায় বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। জানা গেছে, যে সমস্ত বাড়ি ভাঙচুর হয়েছে তারা প্রত্যেকেই বিজেপি কর্মী। এই ঘটনার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসকে দায়ী করেছেন বিজেপি নেতৃত্বরা। যদিও পুরোপুরি ঘটনার অস্বীকার করেন তৃণমূল কংগ্রেস। ঘটনার পর থেকেই এলাকায় নামানো হয় বিরাট পুলিশ বাহিনী।
রবিবার ছিলো বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল। সেই ফলাফলের ভিত্তিতে ময়নাগুড়ি বিধানসভায় জয় লাভ করেছেন বিজেপি প্রার্থী কৌশিক রায়। বিজেপি প্রার্থী জয়লাভ করলেও গোটা ময়নাগুড়ি জুড়ে ছেয়ে যায় সবুজ আবিরে। তার অন্যতম কারণ ময়নাগুড়ি বিধানসভায় তৃণমূল প্রার্থী হারলেও, ক্ষমতায় থাকছেন তৃণমূল কংগ্রেস। তাই দিদির জয়ের আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে পড়েন তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা। কিন্তূ রবিবার চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার পরেই গোটা ময়নাগুড়ি জুড়ে বেশ কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা সামনে আসে। ময়নাগুড়ির সাপ্টি বাড়ি ১,২, চুরাভন্ডার এলাকায় বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে । এমনকি সোমবার ময়নাগুড়ির রানীরহাট মোড় সংলগ্ন সেন পাড়া এলাকায় বেশ কিছু দুষ্কৃতী একটি মুদির দোকান, বিএসএফ কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ।
স্থানীয়দের অভিযোগ, শুধু বাড়ি ভাঙচুর করেই চুপ থাকেন নি তারা, বাড়িতে থাকা মোটর বাইক, ট্রাক্টর জ্বালিয়ে দেয়। মুদির দোকানের বেশ কিছু মাল পত্র নিয়ে যান দুষ্কৃতীরা। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান ময়নাগুড়ি ও ধূপগুড়ি থানার পুলিশ। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দা রাজেশ সেন বলেন, ” যার বাড়িতে আক্রমণ হয়েছে সে বিজেপি করে। এইসব তৃণমূল কংগ্রেস করেছে।” ময়নাগুড়ির নব নির্বাচিত বিজেপির বিধায়ক কৌশিক রায় বলেন,” ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই বিভিন্ন জায়গায় আমাদের কর্মীদের বাড়িতে, দোকানে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ঘটানো হয়। আমরা এর বিরোধী, এটা ভারতের সংস্কৃতি নয়। আমরা তার জবাব তৃণমূল বন্ধুদের কাছে জানতে চাই। কেন তারা এভাবে হিংসার বাতাবরণ তৈরি করছেন।” যদিও এই সমস্ত ঘটনার দায় অস্বীকার করেছেন ময়নাগুড়ি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের দাবি, বিজেপিরেই গোষ্ঠী কোন্দল।”