অবতক খবর,৯ মে: বীজপুর পুলিশ, তুমি যতই করো বাড়াবাড়ি,তোমার কথা আমরা শুনব না। এইরকম একটা ভাব এখন কাঁচরাপাড়ার বড় বড় শপিং মলগুলোর।

প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ব্যবসা চালাচ্ছে কাঁচরাপাড়ার কিছু ব্যবসায়ী। রাজ্য জুড়ে চলছে আংশিক লকডাউন। এই আংশিক লকডাউনে মুখ্যমন্ত্রী কড়া নির্দেশ দিয়েছেন যে,কোন শপিংমল খোলা চলবে না এবং সকাল ৭টা থেকে ১০টা এবং বিকেল ৫টা থেকে ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকবে দোকানপাট। এই সময় সীমা মানছেন না কাঁচরাপাড়ার ব্যবসায়ীরা। আর এক্ষেত্রে বীজপুর পুলিশ প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে।

সন্ধ্যেবেলায় আপনি গান্ধী মোড়ে গেলে দেখবেন সেখানে পুলিশ ভ্যান দাঁড়িয়ে রয়েছে। কিন্তু চারিদিকে যে দোকানপাট খোলা রয়েছে সেদিকে হুঁশ নেই পুলিশের। অন্যদিকে এই আংশিক লকডাউনের জেরে মানুষ বলছেন, তবে কি ওই সময়সীমায় করোনা থাকবে না? সকালে তিন ঘন্টা এবং বিকেলে দু’ঘন্টা বাজার-হাট খোলা থাকায় ভিড় আরো বেড়েছে। ফলে সেখানে সংক্রমণের সম্ভাবনা আরও বেশি থাকছে।
এদিকে সময়সীমা অতিক্রান্ত হয়ে যাবার পরেও দোকানপাট খোলা থাকছে। ছোটখাটো ব্যবসায়ীরা সময়সীমার মধ্যেই দোকানপাট বন্ধ করে দিচ্ছে। কিন্তু কাঁচরাপাড়ায় যে বড় বড় শপিং মলগুলি রয়েছে, এই মলগুলির ক্ষেত্রে খোদ মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশিকা জারি করে বলেছেন যে, কোনোরকম শপিং মল কোন অবস্থাতেই খোলা যাবে না, এক্ষেত্রে তাঁর নির্দেশিকাকেই বুড়ো আঙ্গুল দেখাচ্ছেন কাঁচরাপাড়ার শপিং মলগুলি।

মল গুলিতে সারাদিন হাফ শাটার খোলা থাকছে। আর এই ভাবেই চলছে তাদের ব্যবসা। বীজপুর পুলিশ প্রশাসন কেন এদিকে নজর দিচ্ছে না,এটা একটা রহস্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিয়ম তো সবার জন্য এক। তবে কাঁচরাপাড়ার মলগুলি কেন সেটা মানছে না,সেটা বোঝা যাচ্ছে না। কিন্তু শহরের ছোটখাটো ব্যবসায়ীরা নির্দিষ্ট সময়সীমা মেনে চলছেন।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, এক্ষেত্রে পুলিশ প্রশাসন যদি দ্বিচারিতা করে, অর্থাৎ ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য এক নিয়ম, আর শপিংমল গুলির জন্য অন্য নিয়ম,তবে আগামীতে তাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠবেই।