অবতক খবর,১৯ জুন: মুকুল রায় এবং তাঁর পুত্র শুভ্রাংশু রায় ফিরে এলেন তৃণমূলে। ২০১৭ সালে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন মুকুল রায়। বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি পদ পান তিনি। এরপর পিতার দেখানো পথেই হাঁটেন পুত্র শুভ্রাংশু রায়। ২০১৯ সালে তিনিও বিজেপিতে যোগ দেন।

সেই সময় মুকুল-শুভ্রাংশুর হাত ধরে বেশ কিছু কাউন্সিলর এবং কর্মীরা তৃণমূল ছেড়ে যোগদান করেছিলেন বিজেপিতে।

২০২১-এ তৃণমূল ক্ষমতায় আসতেই ফের দলবদল করে তৃণমূলে এলেন মুকুল রায় এবং শুভ্রাংশু রায়।

কিন্তু এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে,তাঁদের অনুগামীরা যারা সবসময় তাঁদের বাড়িতে পড়ে থাকে(স্বাগতম দাস,গৌরব,সৌরভ,সৌমিক,রাজা ,সমীর, সুবীর, কৌশিক সোম, সৌমেন মল্লিক, বিট্টু, নবীন দাস সহ আরো অনেকেই),তাঁদের দেখেই যারা রাজনীতি করে,তাঁরা যখন যে দলে যায় তারাও দল বদল করে ফেলে, তাদের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কী? কারণ তারা এখন না তৃণমূলে,না বিজেপিতে। কোন দলেই নেই। তারা এখন দিশেহারা।

মুকুল-শুভ্রাংশু তো তৃণমূল ভবনে গিয়ে একপ্রকার যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। কিন্তু এদের তো তৃণমূলে কেউ যোগদান করাননি। সূত্রের খবর,তারা এখন নিজেই নিজেদের তৃণমূল কর্মী বলতে শুরু করে দিয়েছে। কিন্তু দল যে এদের নিয়েছে তার সার্টিফিকেট দেবে কে?

যারা মুকুল-শুভ্রাংশু পন্হী,তাদের এখন তৃণমূল দলে যোগদান করাবে কে? আদৌ কি নেওয়া হবে তাদের তৃণমূলে? এদিকে বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্বরাও বলছেন যে,তারা এখন বিজেপি দলের কেউ না।

অন্যদিকে সূত্রের খবর,উচ্চ নেতৃত্বের তরফে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে,বীজপুরে এখন আর যে কেউ তৃণমূল দলে যোগদান করতে পারবে না।‌ আর যদি যোগদান করে তবে একমাত্র বীজপুর বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর হাত ধরেই তাদের যোগদান করতে হবে।