অবতক খবর, সংবাদদাতা :: ভোট পরবর্তি হিংসার ঘটনায় সরোজমিনে খতিয়ে দেখলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল। এদিন প্রতিনিধি দলটি উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া ব্লকের ঘিরনিগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের গোয়াবাড়ির গ্রামের বাসিন্দা আসারু শর্মার বাড়িতে গিয়ে আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলেন। কমিশনের প্রতিনিধি দল সাংবাদিকদের সামনে মুখ খোলেন নি। আক্রান্তরা জানিয়েছেন পূর্নাঙ্গ ঘটনা তদন্তকারি দলটি লিপিবদ্ধ করেছেন।
বিধানসভা নির্বাচনের পর বিরোধী রাজনৈতিক দলের উপর হামলার ঘটনা আদালতের নির্দেশে খতিয়ে দেখতে গতকাল ইসলামপুর সার্কিট হাউসে পৌছান তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল।এদের মধ্যে আছেন, ডি এস পি কুলবীর সিং, ইনপেক্টর কুলয়ন্ত সিং এবং চন্দ্র শেখর। আজ দুপুর বিশাল পুলিশ বাহিনী সঙ্গে নিয়ে উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া ব্লকের গোয়াবাড়ি সিপিএমের শাখা সম্পাদক আসারু শর্মার বাড়িতে যান। ঘটনার পর আসারুবাবুর ছেলে দীপঙ্কর শর্মার উপর বিভৎস আক্রামন হয়েছিল।সেই আক্রামনে দীপঙ্কর বাবু প্রায় পঙ্গু হয়ে গেছেন।
আজ কমিশনের প্রতিনিধি দল আসারু শর্মা ও তার ছেলে দীপঙ্কর শর্মার সঙ্গে কথা বলেন।ঘটনার পর আসারু শর্মা পুলিশের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করেছিলেন। পুলিশ বেশ কয়েকজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করলেও এখনও বেশ কয়েকজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে নি। ঘটনার কয়েকমাস কেটে গেলেও এখনও তাদের উপর আক্রামনের ঘটনা ঘটছে। রাতের অন্ধকারে তাদের বাড়িতে পাথর ছোড়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। শাসক দলের আক্রমনে শারিরিক ভাবে অর্থব্য হয়ে পড়লেও আসারুবাবুর ছেলে দীপঙ্কর বাবু এখন তার নিস্পত্তি চান। তিনি কমিশনের প্রতিনিধি দলের কাছে এলাকার শান্তি প্রতিষ্ঠার দাবি করেছেন।
সিপিএম নেতা আসারু শর্মা জানিয়েছেন, ঘটনার পর পুলিশ এবং দার্জিলিংএর সাংসদ রাজু বিস্তের কাছে অভিযোগ করেছিলেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই কমিশনের প্রতিনিধি দল তাদের কাছে আসতে পারেন বলে মনে করছেন। তারা নির্বাচনের পরবর্তী হিংসার ঘটনাটি জানিয়েছেন। কমিশনের সদস্যরা পূর্নাঙ্গ ঘটনা লিপিবদ্ধ করেছেন। তবে তারা কোন আশ্বাস দেন নি। আক্রান্ত পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘক্ষন কথা বলার পর তারা সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন।তদন্তকারি দলের কোন সদস্য সাংবাদিকদের কাছে মুখ খোলে নি। গোয়াবাড়ির পর প্রতিনিধি দলটি ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের কোটগছ গ্রামে আক্রান্ত বিজেপি কর্মি প্রদীপ রায়ের বাড়িতে যান।