অবতক খবর,২৭ জুলাই,মালদা:- পুরাতন মালদার গোবিন্দপুর গ্রামে ঘুমন্ত অবস্থায় সাপে কেটেছিল এক গৃহবধূকে। ওই গৃহবধূকে স্থানীয় বাসিন্দারা হাসপাতালে না নিয়ে এসে ওঝার কাছে নিয়ে যায়, প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলে গুনি ওঝার কেরামতি। অবশেষে বেগতিক অবস্থায় পড়লে ওই গৃহবধূকে স্থানীয়রা মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসে এবং তারপরই চিকিৎসার পর তার মৃত্যু হয়।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে,মৃত গৃহবধূর নাম বিজলী সর্দার(৩৪)। স্বামী কান্দ্রু সর্দার। সে বর্তমানে শ্রমিকের কাজে ব্যাঙ্গালুরুতে রয়েছে। তার আত্মীয়রা জানান,বিজলী তার দুই ছেলেকে নিয়ে বাড়িতে থাকতেন। রাত্রিবেলা ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন সেই সময় একটি বিষধর সাপ বিজলীর হাতে কামড় দেয়। ঘটনায় তার চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা কোন রকমে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় গুনি ওঝার কাছে নিয়ে যায়। সেখানে ওঝা কেরামতি করেও বিষ নামাতে পারেনি। এদিকে গৃহবধূর শাররীক অবস্থার অবনতি হলে পাশের গ্রামের আরেক ওঝার কাছে নিয়ে যায়। কিন্তুু সেখানেও তার বিষ নামে নি । এই পরিস্থিতিতে বিজলীকে গ্রামের মানুষ মালদা মেডিক্যালে নিয়ে আসলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষনা করে। ইতিমধ্যে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন মালদা বিজ্ঞান মঞ্চ। মালদা বিজ্ঞান মঞ্চের সম্পাদক সুনীল চন্দ্র দাস বলেন,সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে খবরটা জানতে পারলাম ওল্ড মালদায় এক গৃহবধূ কি সাপে কেটেছিল কিন্তু স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে হসপিটালে না নিয়ে গুনি ওঝার কাছে নিয়ে যায় । আজকের সঠিক সময়ে ওই গৃহবধূকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে সে বেঁচে যেত । বিজ্ঞান মঞ্চের কর্মীরা সব সময় মানুষকে সচেতন করছে কিন্তু তার পরেও কিছু মানুষ কুসংস্কার কে এখনো বিশ্বাস করে যাচ্ছে । যা শুনে আমাদের খুব লজ্জা বোধ হচ্ছে মালদা জেলা বিজ্ঞান মঞ্চ হাজার 1987 সাল থেকেই কুসংস্কার বিরোধী নিয়ে গোটা জেলা জুড়ে আন্দোলন করে যাচ্ছে মানুষকে সচেতন করতে তারপরও এরকম অসচেতনতা প্রভাব পরল ওল্ড মালদা ব্লকে। আমরা এই বিষয়ে আরো বেশি ভাবে মানুষকে সচেতন করব ।