অবতক খবর,৫ আগস্ট,মালদা:-লটারীতে এক কোটি টাকা পেল বিয়ে বাড়ির বাজনাওয়ালা। আর তাতেই আবেগ আপ্লুত হলেও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে পরিবার।
মালদার ইংরেজবাজারের বিনয় সরকার রোডের ঘটনা।ইতিমধ্যে তিনি এবং তার পরিবার নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন।
জানা গিয়েছে, এক কোটি টাকা লটারী প্রাপকের নাম শঙ্কু ঋষি(৩৫)। বাড়ি মালদা শহরের ইংরেজবাজারর বি এস রোড এলাকায়। পরিবারে রয়েছেন বাবা-মা, এক ভাই। মা ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী। ভাই বিকলাঙ্গ।পরিবারে নুন আনতে পান্তা ফুরায়। যার ফলে ১০ বছর বয়স থেকে বাবার হাত ধরে বিয়ে বাড়িতে বাজনা বাজিয়ে সংসারের হাল ধরেন। বর্তমানে তার বয়স ৩৫। গত দুই বছর ধরে লকডাউনের কারণে কার্যত বিয়েবাড়িতে বাজনা বাজানো বন্ধ। বাজনা বাজিয়ে যেটুকু উপার্জন মজুদ ছিল তাও গত দু’বছরে শেষ হয়ে গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবে সংসারের হাল ধরতে ১৭ দিন আগে বাড়ির সামনে বিএস রোড এলাকায় রাস্তার ধারে একটি লটারির টিকিটের দোকান খোলেন তিনি। সেখান থেকে প্রচুর টিকিট বিক্রি হচ্ছিল। গত কয়েকদিনে সারাদিন বৃষ্টির কারণে তার প্রচুর টাকা ক্ষতি হয়। এরই মধ্যে ডিয়ার লটারি খোলা বান্ডিল থেকে যায়। একবার টিকিটের বান্ডিল খুললে সেই বান্ডিল আর এজেন্সি নেয় না।
আর যার ফলে সেই বান্ডিলটি তার কাছে থেকে যায়।

সন্ধ্যা হতেই তিনি দেখতে পান সেই বান্ডিলের মধ্যে থেকেই তার এক কোটি টাকার লটারি টিকিটি খেলেছে। এরপর তিনি কিছুক্ষণ চুপচাপ থাকলেও পরবর্তীতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকেন।

শঙ্কু ঋষি জানান, লকডাউনের কারণে পরিবারের আর্থিক অনটন চলছিল। বর্তমানে কোদিকে কাজ না পেয়ে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন লটারি টিকিটের দোকান খুলবেন। সেই মতো দোকান খোলেন। মাত্র ১৭ দিন হয়েছে দোকান খোলার। এরমধ্যে লটারি টিকিট খেলে যায়। একদিকে যেমন পরিবারের উপকার হবে অন্যদিকে এক কোটি টাকা একসঙ্গে পেয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

সরকারি নিয়ম মেনে সেই টাকা পেলে আমি উপকৃত হব, জানালেন তিনি।