অবতক খবর,৬ আগস্ট,মালদা:-জাতীয় সড়কের রূপ নিয়েছে আস্ত ডোবা, একাধিক খানা খন্দে ভরা রাস্তা, নিকাশি না থাকার কারণে জল থৈ থৈ সড়ক। প্রাণের ঝুঁকির সহিত চলছে যাতায়াত। প্রশাসনের উদাসীনতার ফলে বেহাল অবস্থায় রয়েছে এই রাস্তা দাবি বাসিন্দাদের। দ্রুত জাতীয় সড়ক সংস্কারের দাবি নিত্যপথযাত্রীদের।
বেহাল হয়ে পড়েছে ৮১ নং জাতীয় সড়ক। চাঁচোল ১ নং ব্লকের রানী কামাত এলাকায় তৈরি হয়েছে একাধিক বড় বড় গর্ত। সবচেয়ে বড় গর্তটি তৈরি হয়েছে ওই এলাকার মধ্যপাড়ায়। নিকাশি না থাকায় সেখানে প্রায় এক হাঁটু জল জমে রয়েছে। ওই গর্ত পেরিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে গাড়ি উল্টে ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা।
পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, টোটো ,অটো সহ ছোট যানগুলিকে ওই রাস্তা পার করতে গিয়ে ঠেলে নিয়ে যেতে হচ্ছে। নিত্যযাত্রীরাও দুর্ভোগের মুখে পড়ছেন। ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারাও। হালকা মাঝারি বৃষ্টিপাত হলে ওই জাতীয় সড়ক আস্ত ডোবার রূপ নেয়। রাস্তায় তৈরি হয়েছে বিশাল গর্ত। সেই গর্তে জল জমে আস্ত পুকুর বা ডোবায় পরিণত হয়েছে। রাস্তা দিয়ে চলতে চরম সমস্যার শিকার হতে হচ্ছে নিত্য পথযাত্রী থেকে শুরু করে এলাকার বাসিন্দাদের। শুধু তাই নয়, গাড়ি উল্টে ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো সুরাহা হয় না বলে অভিযোগ এলাকার বাসিন্দাদের।
এলাকার বাসিন্দা নুরজাহান বিবির অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে এই জাতীয় সড়ক। এ সড়ক দিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর তুলসিহাটা সহ একাধিক এলাকায় যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা। সেই রাস্তার অবস্থা বেহাল। প্রশাসনের কাছে একাধিকবার সমস্যার কথা বলা হলেও রাস্তাটি সংস্কার করার ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে বর্ষা আসতেই শুরু হয়েছে জল যন্ত্রণা। ওই সমস্যার জন্য নিত্যযাত্রী ও বাসিন্দারা রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু প্রশাসনিক কর্তাদেরও দায়ী করছেন।
এ বিষয়ে চাঁচোলের মহকুমা শাসক কল্লোল রায়কে ধরা হলে তিনি জানান,বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের গোচরে তুলে ধরছি। দ্রুত সেই রাস্তা সংস্কারের কাজ যাতে শুরু হই তা দেখা হচ্ছে।