অবতক খবর,১০ আগস্ট: ছটফটে ছেলেটি আজ বড় শান্ত হয়ে গিয়েছে। আগের মতন স্কুলে যাওয়ার জন্য শারীরিক ক্ষমতা হারিয়েছে।
অসুস্থ শরীর নিয়ে শুয়ে শুয়ে তার দিন কাটছে। কিন্তু কী কারণে এক প্রশ্ন চিহ্ন রয়ে যায়?
প্রশ্ন করতেই চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে জল, কিছুদিন আগে পর্যন্ত ২৪ পরগনণা জেলার কাকদ্বীপ থানার বুধাখালি অঞ্চলের বিশালাক্ষীপুর বাসিন্দা ১০ বছরের সাগর রানা, স্কুল টিউশন এবং বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলা করত।
আজ নিস্তব্ধ অবস্থায় বিছানায় পড়ে রয়েছে। বছর তিনেক আগে সাগর রানা স্কুলে ক্লাস চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়ে।
শিক্ষকদের সহায়তায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।সেদিন সাগরকে সঙ্গে নিয়ে তার বাবা-মা একের পর এক হাসপাতাল করেছেন। শেষ পর্যন্ত তারা জানতে পারেন, ছেলে ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত। আর্থিক অনটন থাকা সত্ত্বেও
ভিন রাজ্যে গিয়ে ছেলের চিকিৎসা করায় তার বাবা মা।
আর সেই চিকিৎসা করাতে গিয়ে সর্বস্ব বিক্রি করে দিতে হয় তার পরিবারকে। সাগরের বাবা সুব্রত রানা কামারশালায় কাজ করতেন।
কিন্তু লকডাউনের জেরে বন্ধ রয়েছে সেই কারখানা। কাজ হারিয়ে এখন তিনি রাজমিস্ত্রি জোগাড়ে কাজ করেন।
কিন্তু তবু বর্তমান পরিস্থিতিতে এই কাজ এখন আর সেভাবে হয় না। আর তাই কাজ হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে সুব্রত রানা। চিকিৎসকরা জানান, তাড়াতাড়ি সাগরের অপারেশন না করলে অবস্থার অবনতি হতে পারে।
খরচ প্রচুর।কিভাবে করবেন ছেলের অপারেশন তা জানা নেই রানা পরিবারের। কিন্তু ছেলেকে বাঁচাতে হলে এই অপারেশন শেষ কথা, জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
এই পরিস্থিতিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে সাগরের বাবা অসহায় সাগরের মা ও আজ নির্বাক হয়ে গিয়েছে। চোখ ভরা জলে তাদের একটাই মিনতি, আমার সন্তানকে বাঁচান। কিন্তু কীভাবে তা জানা নেই।
তিনি শুধু জানেন, সবার সহযোগিতায় একদিন সাগর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসবে। অসহায় রানার পরিবারের পাশে সরকারি বা বেসরকারি কেউ হাত বাড়িয়ে দিলে সুস্থ হয়ে ছেলেকে বাড়িতে ফেরাতে পারেন এমনই আর্তনাদ পিতা-মাতার।