অবতক খবর,১৮ আগস্ট,জলপাইগুড়ি: রাজ্যের সরকারি আমলাদের কাজ করতে দিচ্ছেনা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পদে কর্মরত হয়ে প্রথমবার ডুয়ার্সে এসে সাংবাদিকদের কাছে ক্ষোভ উগরে দিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা ডুয়ার্সের ভূমিপুত্র জন বার্লা।

তিনি বলেন “আমি একাধিক বার জেলাশাসককে বলেছি যে আমার কাছে সাংসদ কোটার কোটি টাকা রয়েছে, পরিকল্পনা করে কাজ করুন এবং এলাকার মানুষের দাবিদাওয়া পূর্ণ করুন। কিন্তু জেলাশাসক ফোন ধরেন না। যদিও বা ফোন ধরেন তখন বলেন আপনাদের সাথে কথা বলে কি আমি আমার চাকুরি খোয়াবো!”

বুধবার বিকালে বিজেপির শহীদ সম্মান যাত্রা অনুষ্ঠানে মালবাজার শহরে এসে সরকারি আধিকারিকদের সম্পর্কে এমনটাই মন্তব্য করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লা। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লা কালিম্পং থেকে সড়ক পথে মালবাজার শহরে আসেন। সঙ্গে ছিলেন দলের জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী, জলপাইগুড়ির সাংসদ ডাঃ জয়ন্ত রায় সহ অন্যান্যরা। শহরের গুরজং ঝোড়া মোড় এলাকায় অবস্থিত দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক সন্মেলন করে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, “রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলিকে বাংলায় কার্যকর করছেন না। অথচ খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প চালু করেছেন। সম্প্রতি লক্ষ্মীর ভান্ডার চালু করেছেন। এসব করে মানুষের কোন কাজ হচ্ছেনা। সাধারণ মানুষকে করোনাকালে অযথা লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে। সেই লাইনে স্বাস্থ্যবিধি, সামাজিক দুরত্ববিধি কেউ মানছেন না। এভাবে সংক্রমণ ছড়াতে পারে অথচ এভাবেই দুয়ারে সরকার নাম নিয়ে কাজ করছে রাজ্যের ক্ষমতাসিন সরকার। আমরা রাজ্য সরকারকে বহুবার বলেছি আসুন একসাথে কাজ করি, বাংলার মানুষের জন্য কাজ করি। কিন্তু, রাজ্য সরকার কোন কথাতেই কর্ণপাত করেন না। শুধুই বিজেপি কর্মীদের উপর দমন পীড়ন নীতি চালাচ্ছে । বিজেপি করলে ১০০ দিনের কাজ পাবে না, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর পাবে না। এই চলছে সমগ্র রাজ্য জুড়েই। আজ উত্তরবঙ্গের গর্বের বিষয় যে দুজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এখানে আছেন। যারা রাজ্যের সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করতে চান কিন্তু রাজ্যের সরকার শুধুমাত্র রাজনীতির আঙিনায় দারিয়ে সাধারণ মানুষের জন্য কেন্দ্রে উন্নয়নমূলক কর্মসূচিকে বাস্তবায়িত করতে দিচ্ছেন না।”

এদিন শুধু মন্ত্রীই নয়, জলপাইগুড়ি জেলার সাংসদ ডাঃ জয়ন্ত রায় রাজ্য সরকারের প্রকল্পের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, “রাজ্য সরকারের সব প্রকল্পই চূড়ান্ত ব্যার্থ। গজলডোবার ভোরের আলো দিনের অন্ধকার হয়ে গেছে”। এভাবেই এদিন শহীদ সম্মান যাত্রায় এসে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন মন্ত্রী ও সাংসদ উভয়ই।