অবতক খবর,২৪ আগস্ট: পূর্ব বর্ধমান জেলার বেশ কিছু মহাকুমা আদালতের অনেকটাই ক্ষমতা বৃদ্ধি হল। এই মহাকুমা মানুষদের যে মামলাগুলোকে নিয়ে বর্ধমান জেলা আদালতে ছুটতে হতো, সেই মামলাগুলি এখন কালনা মহাকুমা আদালতেই হবে।

আরো অন্যান্য মহাকুমা সেগুলি হল– অগ্রিম জামিন শুনবার অধিকার,পকসো, মাদক, বিদ্যুৎ, অ্যান্টি করাপশন সম্বন্ধীয়।

খুব শীঘ্রই এই মামলাগুলি বর্ধমান জেলা আদালতের পরিবর্তে কালনা কাটোয়া সহ অন্যান্য মহকুমা, অতিরিক্ত জেলা দায়রা আদালতের বিচারপতি রাজেশ চক্রবর্তীর এজলাসেই হবে।

সেইরকমই কলকাতা উচ্চ আদালতের একটি নির্দেশিকা জারি হয়েছে।

গত ১৮-০৮-২১ তারিখে কলকাতা উচ্চ আদালতের রেজিস্টার মোহাম্মদ সব্বর রশিদ একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। সেই বিজ্ঞপ্তিতে জেলা বিচারপতিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবার থেকে উল্লেখিত মামলাগুলি মহাকুমা অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারপতির এজলাসে হবে। জেলা বিচারপতির থেকে কালনা মহকুমা আদালতে সেই নির্দেশ চলে এলেই মামলার কাজ শুরু হয়ে যাবে। চলতি মাসের প্রথম দিকেই ঘোষিত হয় কালনা মহকুমা আদালতে ভার্চুয়াল আদালত শুরু হবে। এক মাসে বিচার সম্বন্ধীয় দু-দটো নির্দেশিকা জারি হাওয়াই খুশি আইনজীবী থেকে বিচারপ্রার্থীরা।

কালনা বার অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালন কমিটির অন্যতম সদস্য বলেন,আমাদের পেশার পরিধি বাড়লো। পাশাপাশি বিচারপ্রার্থীদেরও হয়রানি কমলো। অর্থ ও সময় তাদের অনেকটাই বাঁচবে। আর অন্যদিকে সমস্যায় পড়তে হল বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান বার অ্যাসোসিয়েশনকে, সমস্ত কাজকর্ম বর্ধমান আদালত থেকেই হতো। এখন এটা ভাগ হয়ে যাওয়ায় কপালে ভাঁজ পড়েছে পূর্ব বর্ধমান আদালতে আইনজীবীদের।

তারা জানান হাইকোর্ট নির্দেশ দেবে সেটা মান্যতা দেবেন। কিন্তু একটু বিচার বিবেচনা করে এই রায় দেওয়া দরকা।কারণ পূর্ব বর্ধমান জেলার মধ্যে যখন বুদবুদ, তখন পূর্ব বর্ধমান আদালতে সুনানি সেটি কেন হল না,সেটি কেন অন্য দিকে ঠেলে দেয়া হলো। আর অন্যদিকে আবার নতুন ভাবে এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে হাইকোর্ট, যদিও এই সিদ্ধান্তে বর্ধমান বার অ্যাসোসিয়েশন খুশি নয় বলে জানিয়েছেন বার এসোসিয়েশনের সম্পাদক সাধন্ত তা।

তীব্র কটাক্ষ করলেন বার এসোসিয়েশনের সদস্য প্রদীপ আইচ।
তিনি বলেন,সঠিক সিদ্ধান্ত না হলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন আলাপ-আলোচনা করে।