অবতক খবর,২৫ আগস্ট,বাঁকুড়া:- আধুনিক যুগে বিপন্নতার মুখে বিষ্ণুপুরের লণ্ঠন শিল্প!
শিল্পের সঙ্গে শিল্পীদের জৌলুসেও পড়ছে ভাটা! তারা আজও পাইনি মুখ্যমন্ত্রীর জনমুখি প্রকল্প শিল্পী ভাতা।
ইতিহাস বুকে, মন্দির পাশে শিল্পীরা ধরে গানের সুর,
পোড়া মাটি আর লণ্ঠন বুকে নাম কেড়েছে বিষ্ণুপুর।
হ্যাঁ, বাঁকুড়া জেলার সবথেকে প্রাচীন, সবথেকে ঐতিহ্যবাহী, শিল্পের কেন্দ্রবিন্দু হল মন্দির নগরী বিষ্ণুপুর। টেরাকোটা নানান সামগ্রী থেকে গানের আসর, কাঠ শিল্প থেকে লণ্ঠনের বাতি, সবটাই বিষ্ণুপুরের প্রাচীনত্বকে যেন ধরে রেখেছে সুঠামভাবে।
কিন্তু সময়ের তালে তালে মিলিয়ে চলতে চলতে হারিয়ে গেছে কিছু শিল্পের জৌলুস, হারিয়ে গেছে গুরুত্ব, বিপন্নতার সম্মুখীন হয়েছেন শিল্পীরা। বিষ্ণুপুরের মাটিতে এমনভাবেই বিপন্নতার সম্মুখীন ঐতিহাসিক লণ্ঠন শিল্প।
ঘরের দাওয়া হোক কিংবা, মন্দিরের জাগরবাতি, রাস্তার স্ট্রিট লাইট হোক কিংবা রাজপ্রাসাদের আলোকসজ্জা, মল্ল রাজাদের আমল থেকেই বিষ্ণুপুরে সকল স্থানে ব্যবহার হত নানান লন্ঠন, যেগুলি আবার বানানো হত বিষ্ণুপুরেই। এমনকি বিষ্ণুপুরের এই লণ্ঠন পাড়ি দিত নানা জেলা থেকে নানা রাজ্যেও।
কিন্তু এখন ইলেকট্রিক এসে যাওয়ায় বিপন্নতার সম্মুখীন এই প্রাচীন লণ্ঠন শিল্প। চরম দুর্দশায় দিন কাটছে শিল্পীদের। নেই রোজগার, নেই ভবিষ্যতে কোনো রোজগারের আশা, তাই যেন নৈরাশ্যটা স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে শিল্পীদের চোখে। শিল্পের জৌলুসের মতো যেন তাদের জৌলুসও হয়েছে ম্লান। এমন অবস্থায় দাঁড়িয়ে এই শিল্পীদের পাশে দাঁড়ায়নি সরকারও। রাজ্যের অন্যান্য শিল্পীদের কপালে শিল্পী ভাতার মতো সাম্মানিক জুটলেও, বিষ্ণুপুরের এই লণ্ঠন শিল্পীদের কপালে জোটেনি কিছুই। এমন অবস্থায় কিভাবে চলবে সংসার, এই চিন্তাতেই তাদের ঘুম উড়েছে রাতের। এখন তাদের আশা একটাই, সরকার এসে অন্তত তাদের পাশে দাঁড়াক, কিছুটা হলেও সাহায্য করুক তাদের।
তবে বিষ্ণুপুর পৌরসভার নব্য পৌর প্রশাসক অর্চিতা বিদ জানান বিষ্ণুপুরের ঐতিহ্য যাতে কিছুতেই বিলুপ্ত না হয়ে যায় সেদিকে নজর রাখব এবং বিষ্ণুপুরের যেসব লন্ডন শিল্পীরা রয়েছে তাদের বুঝব তাদের যা অভাব অভিযোগ আছে তা আমি নবান্নে পেস করব।