অবতক খবর,৪ সেপ্টেম্বর,উত্তর ২৪ পরগণা: বিদ্যাধরী নদী খেয়া পারাপারের লিজকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে।
ঘটনাস্থলে মিনাখা থানার পুলিশ এসে বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দেয়, পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক।

বিদ্যাধরী নদীর এপারে হাড়োয়া, ওপারে মিনাখাঁ। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, বেশ কিছুদিন আগে অর্থাৎ লকডাউনের আগে যাত্রী পিছু দুই টাকা করে নেওয়া হত।এখন সেটা ৫ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। সেই অভিযোগে নাসির
হাটি ফেরিঘাটে বিক্ষোভ দেখান সাধারণ মানুষ, ঘটনাস্থলে হাড়োয়া থানার পুলিশ এসে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে বিক্ষোভ তুলে দেন।

ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণার বসিরহাট মহকুমার হাড়োয়া থানার কুলটি এবং খাসবালান্দা গ্রাম পঞ্চায়েতের নাসিরহাটি ফেরিঘাটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বহুদিনের পুরনো সমস্যা ঘাটের লিজ পাওয়াকে কেন্দ্র করে নাসির হাটির শেখ সাহেব আলী এবং কুলটি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রাকিবুল মোল্লার। তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে একটা রেষারেষি ছিল।আজ বিক্ষোভের মধ্যে সেটিও প্রকাশ্যে আসে, উভয় পক্ষই কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়ে।

তৃণমূল নেতা ও ঘাট মালিক শেখ সাহেব আলীর অভিযোগ, এই বিক্ষোভের মধ্যে রাজনৈতিক রঙ রয়েছে, যার কারণে এই ভ‍্যানচালকরা আজ ফেরি চলাচল বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে সক্ষম হয়েছে। এই ভ্যান চালকরা যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে, অনেক যাত্রী এদের হাতে শিকার হয়েছে ওদের অভিযোগ সঠিক নয়। তেলের বাজার মূল্য হিসেবে সঠিক পারাপারের ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।

অন্যদিকে রাকিবুলের অনুগামীরা জানান সাধারণ মানুষের থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। প্রতি বাইক পিছু ২০ টাকা এবং প্রতি লোক পিছু ২ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে। আগে প্রতি বাইকটি ৫ টাকা নেয়া হত এবং লোক পিছু দুই টাকা করে নেওয়া হতো ।এখন সেটি লোক পিচু হয়েছে ৫ টাকা বাইক পিচু হয়েছে কুড়ি টাকা।

অন্যদিকে মাঝিরা জানাচ্ছেন যেহেতু ডিজেল চালিত ইঞ্জিন এর মাধ্যমে নদী পারাপার করতে হয়,তাই ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির কারণে এই অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে বলে জানান। তারা আরো জানান এইটুকুতে তাদের সংসার চলে না।