অবতক খবর,১১ সেপ্টেম্বর,বাঁকুড়া:- বারে বারে এই পৃথিবীতে মহামারি আছড়ে পড়েছে। কখনো প্লেগ, কখনো কলেরা।
ইদানিং কালে গোটা বিশ্বে আছড়ে পড়ছে করোনা মমহামারি।শুনে আশ্চর্য লাগলেও এটাই সত্যি! মহামারি শুধু মাত্র প্রাণঘাতী রোগ নয়, মল্লভূমের একটি প্রাচীন দেবী ও বটে।
এই পুজোর শুরু করে ছিলেন ৪৯তম মল্লরাজ মহারাজা বিরহামবির। বিষ্ণুপুর রাজ পরিবারের কূলদেবী মা মৃন্ময়ী দেবীর পুজোর সময় মহা নবমীর নিশুতি রাতে পূজিত হন এই মহামারী দেবী।
এই পুজোকে কেন্দ্র করে কথিত আছে এক অলৌকিক কাহিনী।
মহারাজা বিরহাম্বির কোনো এক নিশুতি রাতে দুর্গ পরিদর্শনে বেরিয়ে ছিলেন তখন তিনি এক অদ্ভুত দৃশ্য দেখতে পান এক দেবী খচ্চরের উপর চেপে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তখন রাজা তাকে ক্ষুদ্ধ হয়ে জিজ্ঞাসা করেন, তিনি কে?
মহারাজার প্রশ্নের উত্তর না মেলায় মহারাজা রেগে গিয়ে রাজ সৈনিক দিয়ে তাকে বন্দি করেন। তারপর আবার জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমি মহামারি দেবী। আমাকে মৃন্ময়ী পুজোর নবমীর রাতে পুজো করতে হবে। পুজো করলে রাজাকে তিনটি বর দেবেন দেবী।
তিনি বলেন, রাজ পরিবারের কেউ সর্পাঘাতে মারা যাবেনা, দ্বিতীয়ত রাজ পরিবারের কখনো অন্নের অভাব হবে না, তৃতীয়ত এই মল্লরাজধানীতে কখনো মহামারি দেখা দেবে না।
তার পর থেকেই শুরু হয় দেবীর পুজো। রাজা আর নেই, তবুও রাজমহলের ভাঙাচোরা দেওয়ালের নোনাধরা ইট গুলো আজও সাক্ষী রয়েছে ইতিহাসের নানান কাহিনীর
রাজ পরিবারের সদস্য সম্রাট সিংহ ঠাকুরের কাছে আমরা এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এই অলৌকিক গল্প আমাদের শোনান।
তবে এই পুজোর বেশকিছু নিয়ম আজও নিষ্ঠার সঙ্গে পালিত হয়, জানালেন রাজ পরিবারের পুরোহিত।
আর মাত্র কিছু দিন। তারপর দেবীর পুজো হবে এই মল্লভূমে তার পরই হয়তো বিশ্ব থেকে মহামারী করোনা বিদায় নেবে।