অবতক খবর,১১ সেপ্টেম্বর,নদীয়া: শান্তিপুরের নিশ্চিন্তপুর এলাকায় অসুস্থ রোগীকে চিকিৎসা করাতে গিয়ে কল্যাণীতে পথ দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম রোগী এবং তার চার আত্মীয়,মৃত অ্যাম্বুলেন্স চালক।

কল্যাণী থেকে রোগী দেখে বাড়ি ফেরার পথে অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে মারুতি অলট্রো মুখোমুখি সংঘর্ষে গুরুতর আহত ৪,মৃত ১। আহতরা সকলেই কল্যাণী জহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহত বিশ্বনাথ চক্রবর্তী জানান, নদীয়া জেলার শান্তিপুর নৃসিংহপুরের বাসিন্দা সকলে। গত বৃহস্পতিবার ব্রেন স্ট্রোক হওয়ায় শান্তিপুর নরসিংহ পুরের রবি সেন নামে এক ব্যক্তিকে কল্যাণী জহরলাল নেহেরুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় চিকিৎসার উদ্দেশ্যে। চিকিৎসা চলাকালীন চিকিৎসকরা জানান, রবি সেনের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে নিয়ে যেতে হবে কলকাতায়। এই খবর পেয়ে
আজ সকালে রবি সেনের পরিবারের সদস্যরা শান্তিপুর থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে আসেন কল্যাণী জহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে। সেখানে এসে রবি সেনের পরিবারের সদস্যরা জানতে পারে ওই অ্যাম্বুলেন্সে অক্সিজেন নেই অথচ রবি সেনের অক্সিজেন লাগবে। এই পরিস্থিতিতে কল্যাণী থেকে অক্সিজেন সহকারে একটি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে রবি সেনকে নিয়ে তার পরিবারের দুই সদস্য রওনা দেয় কলকাতার উদ্দেশ্যে। এরপর দুপুর তিনটে নাগাদ কল্যাণী জহরলাল নেহেরু মেমোরিয়াল হাসপাতাল থেকে রবি সেনের পরিবারের বাকি ৪ সদস্য শান্তিপুর থেকে আনা অ্যাম্বুলেন্স করে শান্তিপুরে ফেরার পথে ৩:৪৫ মিনিট নাগাদ কল্যাণী ঈশ্বর গুপ্ত সেতুতে ওঠার আগেই উল্টো দিক থেকে আসা একটি মারুতি অল্টোর সঙ্গে ওই অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয় অ্যাম্বুলেন্স চালক সহ অ্যাম্বুলেন্সের বাকি চার সদস্য। অ্যাম্বুলেন্সটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। তা দেখে পথচলতি অন্যান্য ট্রাকচালকেরা অ্যাম্বুলেন্স কেটে আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে আসে কল্যাণী জহরলাল নেহেরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসা চলছে তাদের। তবে জানা গেছে, গতকাল রাতে অ্যাম্বুলেন্স চালক মহাদেব সরকারের অবস্থার অবনতি হয় এবং তিনি মারা যান।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কল্যাণী থানার পুলিশ। যদিও ঘাতক মারুতি অল্টো যারা ছিল সকলেই পলাতক বলে জানা যায়। ঘটনাস্থলে উদ্ধারকার্য শুরু করেছে কল্যাণী থানার পুলিশ।
আহতদের নাম ও বয়স। বিশ্বনাথ চক্রবর্তী (৬০), মৃত মহাদেব সরকার (৬৪) অ্যাম্বুলেন্স চালক। সুকুমার বণিক (৬২), অমল রায় (৫৫) ব্রজেন মন্ডল (৬৪)।