অবতক খবর,১১ সেপ্টেম্বর,বালুরঘাট: পঞ্চায়েতের উপর ভরসা হারিয়ে মাটির রাস্তায় বাঁশ বিছিয়ে গ্রামের রাস্তায় চলাফেরা করে জলঘর গ্রামের আদিবাসী পাড়ার বাসিন্দারা।
জানা যায়,বর্ষাকালে সামান্য বৃষ্টিতেই এক হাঁটু কাদা রাস্তাতে। চলাচল করাই কষ্টকর। সাইকেল,মোটর সাইকেল দুরাস্ত পায়ে হেঁটে যাওয়াই মুস্কিল। রাস্তার দু’ধারের বাসিন্দাদের বর্ষায় দুর্দশার অন্ত নেই। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের জলঘর পঞ্চায়েতের জলঘর গ্রামের আদিবাসী পাড়ার প্রায় এক কিলোমিটার কাঁচা রাস্তার এলাকায় অন্তত হাজার মানুষ বসবাস করে। তাদের যাতায়াতের এক মাত্র রাস্তাটা বর্ষাকালে কাদায় মাখামাখি থাকে। স্কুলের ছাত্র ছাত্রী,গ্রামবাসীদের হাঁটার রাস্তা বা বালুরঘাট যাওয়ার মেইন সড়কে যেতে হলে ওই একটাই রাস্তা। বর্ষার শুরু থেকেই গ্রামে টোটো অটো অ্যাম্বুলেন্স ইত্যাদি ঢোকে না। দীর্ঘদিন ধরে পঞ্চায়েতে আবেদন করলেও কাজ হয়নি। এমতাবস্থায় স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপর ভরসা না রেখে গ্রামবাসীরা নিজেদের উদ্দোগে গ্রামের বাঁশ ঝাড় থেকে বাঁশ কেটে মাটির উপর বিছিয়ে দড়ি দিয়ে বেঁধে কাদার উপর দিয়ে প্রায় তিনশো মিটার রাস্তা তৈরি করেছে। এ যেন প্রতিবাদের এক অন্য রাস্তা।
গ্রামের বাসিন্দা ভোলা মুর্মু, সেফালি ওড়াঁও, বুধন টুডুরা ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, পঞ্চায়েতে কতবার বলা হয়েছে। প্রধান এবং মেম্বারও জানে আমাদের দুর্দশার কথা কিন্তু আমাদের গ্রামের এই এক কিলোমিটার কাঁচা রাস্তাটা আর পাকা হয়না।
প্রসঙ্গত,বালুরঘাট শহর থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধ বহু অভিযোগ আছে। সপ্তাহ খানেক আগে রাস্তার দাবিতে তালাও ঝুলিয়েছিল পঞ্চায়েতে গ্রামেরই বাসিন্দারা। এদিন আদিবাসী পাড়ার মঙ্গল টুডু বলেন এবার বর্ষায় রাস্তার অবস্থা এত খারাপ হয়ে গেল যে, বাড়ি থেকে মানুষ বের হতে পারছেনা। তখন আমরা গ্রামের সমস্ত মহিলা পুরুষ একত্রিত হয়ে বাঁশ ঝাড় থেকে বাঁশ কেটে কাদার উপর বিছিয়ে আপাতত যাওয়ার রাস্তা তৈরি করেছি।
তিনি বলেন, আমরা বিডিও অফিসেও লিখিত আবেদন করেছি কয়েকবার, শুধু বলা হচ্ছে রাস্তা হবে কিন্তু এখনো পর্যন্ত রাস্তার কোন মাপযোগ করাও হয়নি।
তিনি বলেন,গ্রামের মানুষ ঠিক করেছি এবার জেলা শাসকের অফিস ঘেরাও করব রাস্তার জন্য।