অবতক খবর,১২ সেপ্টেম্বর: আজ কাঁচরাপাড়ার কবরস্থান ময়দান সংলগ্ন অঞ্চলে সরগম ক্লাবের আয়োজনে ১৫-তম রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। এটি ছিল একটি সার্বজনীন রক্তদান উৎসব। এদিনের রক্তদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন পৌর প্রশাসক সুদামা রায়,শহরের ব্যক্তিত্ব সুভাষ চক্রবর্তী, উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন ফুটবলার সংগ্রাম মুখার্জী। এছাড়া রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিতি থাকলেও, রক্তদান উৎসবের পাশে সহযোগিতার জন্য উপস্থিত ছিলেন ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের ৬ বারের প্রাক্তন সাংসদ তড়িৎবরণ তোপদাড়, রমলা চক্রবর্তী সল্টলেক বই মেলা কমিটির অন্যতম আয়োজক জহর ঘোষাল, সমাজকর্মী সুধীর দত্ত। এদিন আমন্ত্রিত অতিথিদের উত্তরীয় এবং চারা গাছ প্রদানের মাধ্যমে সংবর্ধিত করা হয়। এই রক্তদান শিবিরে ১০৪ জন রক্তদান করেন।

আয়োজকদের অন্যতম শম্ভু চ্যাটার্জী বলেন, এই রক্তদান উৎসবটি ১৫ বছর ধরে চলে আসছে। ১৯৮০ সালে এটির সূচনাপর্ব। কিন্তু অনিবার্য কারণে ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারেনি।২০০৮ সালে এই রক্তদান অনুষ্ঠানে জননেতা সুভাষ চক্রবর্তী উপস্থিত থেকে ১০০ জনের হাতে বস্ত্র তুলে দিয়েছিলেন নিজস্ব উদ্যোগে। তিনি ২০০৯ সালে প্রয়াত হবার পর পরবর্তীতে এই রক্তদান উৎসবটি তাঁর উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হয়েছে।

তিনি বলেন,এটি যেহেতু সার্বজনীন রক্তদান উৎসব এর সঙ্গে কোন রাজনীতি জড়িত নেই। ফলত বীজপুরের জনপ্রতিনিধি,কাঁচরাপাড়ার পৌর প্রশাসক,বিভিন্ন সামাজিক ক্ষেত্রে এবং ক্রীড়া ক্ষেত্রে যারা কৃতিত্ব দেখিয়েছেন এবং অবদান রেখেছেন তাদের আমন্ত্রণ করা হয়। জনপ্রতিনিধি সুবোধ অধিকারীকেও জন প্রতিনিধি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। অনিবার্য কোন কারণবশত হয়তো তিনি উপস্থিত হতে পারেননি।

এই রক্তদান উৎসবকে সাফল্যমন্ডিত করার জন্য বক্তব্য রাখেন তড়িৎ বরণ তোপদার , রমলা চক্রবর্তী। তারা বরাবর এই রক্তদান শিবিরের সহযোগিতা করে এসেছেন এবং আগামীতেও করবেন বলে জানান। পৌর প্রশাসক সুদামা রায় বলেন, দীর্ঘ বছর ধরে সরগম এই রক্তদান উৎসবের আয়োজন করে আসছে। ‌ সামাজিক ক্ষেত্রে এর ভূমিকা রয়েছে প্রতি বছরই এই সংস্থা আমাকে আমন্ত্রণ জানায় এবং আমি আমন্ত্রণ রক্ষা করি। আমি চাই এই উৎসবটি আরো এগিয়ে যাক, মানুষের পাশে দাঁড়াক। আমরা সর্বতোভাবে সাহায্য করব।