অবতক খবর,১৪ সেপ্টেম্বর: হাপ্তিয়াগছ গ্রাম পঞ্চায়েতের কনুয়াগছ গ্রামের চার যুবকের ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যুর ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বিকেলে কনুয়াগছ প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে গ্রামবাসীদের নিয়ে সচেতনতামূলক শিবিরের আয়োজন করে আইসি,এনজেপি, আরপিএফ এবং জিআরপি’র আধিকারিকেরা। গত ২২শে জুলাই কনুয়াগছ পার্শস্থ রেললাইনে ৪ কিশোরের ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এরপর সেখানে পুলিশ এবং রেলওয়ে পুলিশের কর্মকর্তারা পৌঁছানোর আগেই গ্রামবাসীরা তাদের মৃতদেহ উদ্ধার করে সৎকার করে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বিকেলে আইসি এনজিপি আরপিএফ এবং জিআরপি’র আধিকারিকরা গ্রামবাসীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে একটি সচেতনতামূলক শিবিরের আয়োজন করে। যার উদ্দেশ্য এনজিপি থেকে ধুমডাঙী স্টেশন পর্যন্ত মোট একশ ছয় কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে যদি কোন দূর্ঘটনা ঘটে সে ক্ষেত্রে পুলিশ প্রশাসন অথবা রেলওয়ে পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে আইনগতভাবে তার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। কোন ধরনের ভয় না পেয়ে এই কাজে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান ওই আধিকারিকেরা। স্থানীয় যুবক শ্রীবৎস সিংহ জানান, মর্মান্তিক দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছিল সেদিন। এই গ্রামে চার-চারটি যুবকের তরতাজা প্রাণ চলে গিয়েছিলে ট্রেনে কাটা পড়ে। কিন্তু মানুষ ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে আইনি জটিলতার ভয়ে দেহগুলিকে উদ্ধার করে সৎকার করে দিয়েছিলেন। এটা ঠিক নয়, যদি তারা আইন অনুযায়ী তাদের ময়নাতদন্ত করে আইনি পদ্ধতি মেনে সৎকার করতেন, তাহলে আজকে হয়তো কোন ধরনের অনুদান পেলেও পেতে পারতেন। আগামীতে আমাদের সজাগ থাকতে হবে, যেন এই ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটে। আর যদি কোনো কারণে ঘটে যায় সেক্ষেত্রে অবশ্যই পুলিশ প্রশাসনের নজরে বিষয়গুলিকে নিয়ে আসা উচিত।