অবতক খবর,২০ সেপ্টেম্বর,রুপম রায়,শান্তিপুর,নদীয়া: অত্যাচারে দুই বছর ধরে ঘর ছাড়া স্ত্রী এবং ছেলে। রেশন কার্ড চাইতে গেলে স্ত্রীকে এলোপাথাড়ি ধারালো অস্ত্রের কোপ স্বামীর। মাকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত ছেলেও। নদীয়ার শান্তিপুর পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। ১৭ বছর আগে নদীয়ার বেথুয়াডহরির বাসিন্দা অনিমা বিশ্বাসের সঙ্গে বিয়ে হয় শান্তিপুরের বাসিন্দা গৌতম বিশ্বাসের। তাদের দুটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন বিষয়ে অত্যাচার করত স্বামী গৌতম বিশ্বাস। অত্যাচার সহ্য না করতে পেরে এর আগেও একাধিকবার বাবার বাড়ি চলে যায় ওই গৃহবধূ। আবারো বুঝিয়ে-শুনিয়ে নিয়ে আসে স্বামী এবং তার পরিবার। অভিযোগ, এর আগেও একাধিক বিষয়ে মারধর করতো স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা।
জানা যায়, এ দিন রেশন ডিলারের কাছে তাদের অধিকারের প্রাপ্য চাইতে যাই। কিন্তু রেশন ডিলার বলে তার স্বামী তাদের সামগ্রী নিয়ে চলে গেছে। এরপরই ওই গৃহবধূ এবং তার ছেলে তার স্বামীর কাছে রেশন কার্ড চাইতে যায়। ঠিক তখনই একটি ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে স্ত্রীকে। বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হয় ছেলেও। কোনরকমে ছেলেকে নিয়ে ওই গৃহবধূ ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়। এরপরই শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে স্থানীয় বাসিন্দারা। শান্তিপুর থানায় অভিযুক্ত গৌতম বিশ্বাস এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।