অবতক খবর,২৯ সেপ্টেম্বর: রামায়ণের গান না শুনে মা এখান থেকে বিদায় নেন না। এমনই ঘটনা উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর ব্লকের পন্ডিতপোতা 1 গ্রাম পঞ্চায়েতের অমল ঝাড়ি দুর্গা মণ্ডপের। এলাকার সাধারণ মানুষ সূত্রে জানা যায় এই এলাকায় মূলত যারা কামার লোহার কাজ করেন সেই কামার সম্প্রদায় মানুষরাই এই দুর্গাপূজা করে থাকেন। বহু প্রাচীন এই দুর্গোৎসব।এই দুর্গা উৎসবের হিন্দু-মুসলিম সব মিলে এই পূজা করে থাকেন।এখানে ভেদাভেদ এর কোন কিছু নেই। মুসলমানরা ও তার তারা তাদের এই দুর্গ উৎসবে শামিল হন। সাত দিন বা তার বেশি সময় ধরে এখানে মেলা বসে দুর্গাপূজা উপলক্ষে। সেই দুর্গাপূজায় মেলাতে সবাই মেতে ওঠেন এমনি কথা শোনা গেল এলাকায় প্রবীণতম ব্যক্তির কাছ থেকে। তিনি জানান সেই ছোট থেকে থাকতে দেখে আসছি এই দুর্গাপূজা।আগে একটি বেরা দিয়ে এই দূর্গা মন্ডপ তৈরি করা ছিল। আস্তে আস্তে ইট কাঠ পাথর দিয়ে এই মন্দির তৈরি করা হচ্ছে। কামার সম্প্রদায়ের মানুষেরা এখানে বেশ কয়েক ঘর বাস করেন এই এলাকায় তারা এবং মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ মিলে এই দূর্গা উৎসব এখানে করে আসছেন। বহু প্রাচীন এই দূর্গা উৎসব এই উৎসবের এলাকাবাসীর মেতে ওঠেন।এলাকার স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য তিনি জানান বহু প্রাচীন এই পুজোর সেই কবে থেকে দেখে আসছি ছোটবেলায় আমরা এই দুর্গাপূজায় আসতাম তবে যাত্রা গান নাচ অনেক কিছুই হতো রামায়ণ গান ও হতো। কিন্তু বর্তমানে করোনা কারণে কিছু হচ্ছে না তবে আশা রাখছি দুর্গাপূজায় এবার খুব আনন্দ হবে।
এক কামার তিনি বলেন আমাদের পূর্বপুরুষরা এই পূজা প্রথম প্রচলন করেন। এলাকায় এখানে একটি ক্যাম্প ছিল সেই ক্যাম্পে একজন পুলিশ কর্মী ছিলেন এবং আমার বাবা সবাই মিলে এই পূজা অংশগ্রহণ করে।এই পূজা সেই থেকেই চলে আসছে প্রায় 80 থেকে 90 বছরের পুরনো এই পূজাতে সবাই আনন্দে মেতে ওঠেন। এবং বিশেষত যেখানে রামায়ণ গান না শুনে মায়ের বিসর্জন দেওয়া যায়না সেই জন্য আমরা রামায়ণ গান প্রত্যেকবার মায়ের পূজা চলাকালীন আমরা করে থাকি। এবং সেই শুনে মা বিদায় নেন এবং তারপর আবার আসছে বছরের জন্য আমরা প্রস্তুত হই।