অবতক খবর,২৯ অক্টোবর,পূর্ব মেদিনীপুর: নীল-সাদা রঙ। আর ঝাঁ চকচকে আলো এবং ফুলের বাগান। একেবারেই সৌন্দর্যায়নে পরিপূর্ণ সরকারি অফিস। দূর থেকে দেখে মনে হবে যেন এক বেসরকারি কর্পোরেট সংস্থার অফিস। কিন্তু তা নয়। এটিই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা-২ বালিঘাই ব্লক প্রশাসনিক কার্যালয়। দূরদূরান্ত থেকে বহু মানুষ বালিঘাই এগরা-২ ব্লকের সৌন্দর্যায়ন দেখতে আসছেন। আবার কেউ কেউ সেল্ফি তুলছেন। তবে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আগের তুলনায় এখানে মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর, এগরা- কাঁথি রাজ্য সড়কের ধারে বালিঘাই তিন মোড়ের কাছে এগরা-২ বিডিও অফিসে আসার প্রবেশপথে ৭ লক্ষ টাকা বরাদ্দে পার্ক ও সৌন্দর্যায়নের কাজ শুরু হয়েছে। পার্ক তৈরির পাশাপাশি স্থানীয় এলাকায় বাতিস্তম্ভ লাগানো হয়েছে। বালিঘাই ব্লক প্রশাসনিক কার্যালয়ে যাওয়ার পথে রাজ্য সড়ক লাগোয়া এই পার্ক তৈরি হলে এলাকার সৌন্দর্যায়ন বাড়বে বলে মনে করছেন পঞ্চায়েত কতৃপক্ষ। এলাকার মানুষ পার্কে বেড়াতেও পারবেন। পতিত জায়গায় পার্ক তৈরি ও সৌন্দর্যায়ন হওয়ায় খুশি স্থানীয় এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, “আগে এখানে সন্ধ্যা নামলে অন্ধকারে ঢেকে যেত। মানুষ যাতায়াত করতে ভয় পেত। কিন্তু এখন বাতিস্তম্ভ, পার্ক ও সৌন্দর্যায়নের ফলে আগের তুলনায় মানুষের আনাগোনা বহুগুণ বেড়েছে। এগরা-২ ব্লকের বিডিও কৌশিষ রায় বলেন, “চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে আমি এই এই ব্লকে কাজে যোগ দিয়েছি। এখানে আমি বিভিন্ন ধরনের উন্নয়ননূলক প্রকল্পের কর্মসূচি নিয়েছি। ব্লক অফিসের পরিকাঠামোটা ঠিক করেছি।
একটা অফিসকে আমি অফিসের মতো করেছি।” তিনি আরও বলেন, “রাস্তাঘাট, বাতিস্তম্ভ, পার্ক এবং গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসগুলোর সার্বিক উন্নয়ন করেছি। আমরা প্রায় ৪৪টি রাস্তা এনআরজিএস থেকে করছি। আমরা বিভিন্ন ধরনের প্রকল্পের মাধ্যমে মানুষের সার্বিক উন্নয়ন করছি। সরকারি কর্মচারী হিসেবে আমার দায়বদ্ধতা রয়েছে।”
তিনি এও বলেন, “সারা রাজ্যের কাছে একটা ‘মডেল অফিস’ হিসেবে এই ব্লককে তুলে ধরতে পারি তারই চেষ্টা করবো। একশো দিনের কাজ, এমজিএনআরজিএস, আবাস যোজনায় জেলায় কাজের নিরিখে ২৫টি ব্লকের মধ্যে এগরা-২ ব্লক সব থেকে উপরে রয়েছে। আগামীদিনে আমরা পরিকল্পনা করেছি যে, এই ব্লকের সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার রাস্তাঘাট কাঁচা থাকবে না। সমস্ত রাস্তাঘাট আমরা পাকা করবো। মানুষের পরিকাঠামো-সহ যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নতি করবো। প্রধান – প্রধান রাস্তার পাশে ড্রেনেজ সিস্টেম ও লাইটিং এর ব্যবস্থা করা হবে। মানুষের কর্মসংস্থানের জন্য স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের বিভিন্ন কুটিরশিল্পে নিযুক্ত করে সার্বিক উন্নয়ন ঘটানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।” কিন্তু বিডিও’র এই উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয় বলে দাবি করেছেন এলাকাবাসী।