অবতক খবর,৩ নভেম্বর: শারীরিক অসুস্থতার কারণেই সক্রিয় রাজনীতি থেকে দীর্ঘদিন নিজেকে সরিয়ে রেখেছিলেন। শুধু তাই নয় বিধানসভা নির্বাচনের ভোটের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একথা নিজে জানিয়েছিলেন চিঠিতে। আর ভোট লড়তে চাননি। প্রয়াত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়।
২০১১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী বদল হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের। সেবারই প্রথম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন শিক্ষাবিদ রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। ভোটে জেতেন তিনি, তৃণমূল সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভায় জায়গা পান রবিরঞ্জন বাবু। কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ দপ্তরের দায়িত্ব পান রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। ২০১৬ সালে একই আসনে জিতে দ্বিতীয়বারের জন্য আবার জয়ী হন। তবে মন্ত্রিত্ব পাননি বর্ধমানের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক।একুশে হাই ভোল্টেজ নির্বাচন ভোটের আগে অবশ্য নিজেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠিয়েছিলেন রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। দুই লাইনের সেই চিঠিতে আর ভোটে না দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু কেন? বয়স ও অসুস্থতার কথা উল্লেখ করেছেন। শেষ পর্যন্ত তাঁকে প্রার্থী করেনি তৃণমূল।
জানা গিয়েছে, তিনি বেশ কয়েকদিন ধরেই বার্ধক্য জনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। অসুস্থতা এতটাই বেড়ে ছিল যে তাকে রাতারাতি কলকাতায় আনা হয় এবং কলকাতার বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি হন তিনি। শেষ রক্ষা হলো না। মঙ্গলবার রাতে হাসপাতালেই প্রয়াত হলেন প্রাক্তন রাজ্যের মন্ত্রী।