অবতক খবর,১৩ নভেম্বর: এবার মাত্র চার ঘন্টায় পৌঁছে যাবেন পুরি।হ্যাঁ, একদম ঠিকই শুনেছেন। এমনই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে রেলমন্ত্রক। কারণ এই রুটে চালানো হচ্ছে হাই স্পিড ট্রেন। মূলত দেশে মোট আটটি জায়গাতেই দ্রুতগতির ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে ভারতীয় রেল। এর মধ্যে তিনটি হাওড়া থেকে অর্থাৎ হাওড়া স্টেশন থেকে ছাড়বে ।এর ফলে সাধারণ মানুষের সময় অনেকটা বেঁচে যাবে বলে অনুমান অনেকের।

বর্তমানের এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে অনেকেই বিমানের পরিসেবা গ্রহণ করতে ইচ্ছে প্রকাশ করে না ।অনেকের ভয় লাগে আবার অনেকে সেই অর্থ জোগাড় করতে পারেনা।তাই সহজ-সরলভাবে ট্রেনের পরিসেবা গ্রহণ করে থাকে প্রায় অধিকাংশ দেশবাসী ।কিন্তু এর আগে বেশ কয়েকটি জায়গায় পৌঁছাতে অনেকটা সময় বেরিয়ে যেতো কখনও একদিন কখনো আবার একদিনের বেশি সময় লাগতো অথচ দুরন্ত গতিতে ট্রেন চালানো হলে সেই সমস্ত জায়গা পৌঁছাতে পারবে উপযুক্ত সময় মতন এই পরিকল্পনাকে সামনে রেখে হাওড়া থেকে পুরি হাওড়া থেকে মুম্বাই এবং হাওড়া থেকে চেন্নাই এই তিনটে হাই স্পিড ট্রেন ১৬০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় চালানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল ভারতীয় রেল ।

দেশের ৮টি রুটে হাই স্পিড ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে রেল। তার মধ্যে ৩টি রুটের ট্রেন চলবে হাওড়া স্টেশন থেকে। রেল সূত্রে খবর, হাওড়া-মুম্বই রুটে হাইস্পিড ট্রেন পাড়ি দেবে ১ হাজার ৯৬৫ কিলোমিটার। যেখানে দুরন্ত এক্সপ্রেসে এখন মুম্বই যেতে সময় লাগে প্রায় ২৭ ঘণ্টা, সেখানে হাইস্পিড ট্রেনে লাগবে প্রায় ১৪ ঘণ্টা। হাওড়া-চেন্নাই রুটে ১ হাজার ৬৫২ কিলোমিটার পাড়ি দেবে হাইস্পিড ট্রেন। এখন চেন্নাই মেলে সময় লাগে প্রায় ২৮ ঘণ্টা। হাইস্পিড ট্রেনে সময় কমে হবে প্রায় ১৩ ঘণ্টা। হাওড়া থেকে পুরীর দূরত্ব প্রায় ৫০২ কিলোমিটার। শতাব্দী এক্সপ্রেসে সময় লাগে প্রায় সাড়ে ৭ ঘণ্টা। হাইস্পিড ট্রেনে প্রায় চার ঘণ্টাতেই পৌঁছে যাওয়া যাবে পুরী।

এছাড়া দেশের আরও ৫টি রুটে চালু হবে হাইস্পিড ট্রেন। রেল সূত্রে খবর, তার মধ্যে রয়েছে, দিল্লি থেকে চেন্নাই। মুম্বই থেকে চেন্নাই। চেন্নাই থেকে ব্যাঙ্গালোর। ব্যাঙ্গালোর থেকে হায়দরাবাদ। এবং চেন্নাই থেকে হায়দরাবাদ।হাইস্পিড ট্রেনের জন্য তৈরি হচ্ছে উপযুক্ত রেক, ট্র্যাক ও বিশেষ সিগন্যালিং ব্যবস্থা। আগামী ২ মাসের মধ্যে প্রতিটি জোনের হাতে সমীক্ষা রিপোর্ট জমা পড়ার কথা।এই খবর সামনে আসে তা রীতিমতো আনন্দিত হয়েছে আপামর দেশবাসী।