অবতক খবর,১৫ ডিসেম্বর: কলকাতা পুরসভা নির্বাচনের আগে ভোটপ্রচারের মঞ্চ থেকে প্রার্থীদের উদ্দেশে কড়া বার্তা দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । ফুলবাগানের জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বাড়ি তৈরির সামগ্রী মানুষ কোথা থেকে কিনবে তা কাউন্সিলর ঠিক করবে না।’ সিন্ডিকেট নিয়ে বিভিন্ন সময়ে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে তাঁর বার্তা, ‘আমার এলাকায় ঘর করবেন, এটা দিতে হবে, এটা চলবে না।’ পাশাপাশি গত দশ বছরে তৃণমূল শাসিত কলকাতা পুরসভার হাত ধরে বদলের প্রসঙ্গ জানাতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখন বাড়ির প্ল্যানের অনুমতি অনলাইনে হয়ে গেছে। আগামী দিনে যা দরকার, অনলাইনেই চাইবেন। ৭দিনে হবে, এটা আমি চাই।’
তিনদিনের গোয়া সফর সেরে কলকাতায় ফিরে পুরভোটের তিনদিন আগে এই প্রথম কোনও জনসভায় বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে প্রার্থীদের উদ্দেশে তিনি সাফ জানিয়ে রাখেন, ‘আমার কাছে কিছু এলে, খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিই। এলাকায় কে বাড়ি করবে সেটা কাউন্সিলর ঠিক করবে না। আর কোনও জায়গায় বিপদ হলে কাউন্সিলর প্রথমে ছুটে যাবে। যিনি এসব দেখতে পারবেন না, তিনি কাউন্সিলর হবেন না।’ অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন কাজে গতি আনার পরামর্শ দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘শিল্পক্ষেত্রেও এটা আমরা করতে যাচ্ছি। যারা আবেদন করেছেন, খতিয়ে দেখে করে দাও। কেন মুখ দেখতে হবে, আবেদন করলে খতিয়ে দেখে কাজ করে দাও।’
এদিনের সভা থেকে মমতা বলেন, ‘কলকাতায় আরও বেশি পাম্পিং স্টেশন করতে হবে। অনেক বৃষ্টি হয়েছে, অন্য কেউ হলে সামলাতে পারত না। দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই একদিন বৃষ্টি হলে হাবুডুবু খায়, বাংলায় জল সরে যায়।আমরা এর জন্য আমরা অনেক পরিকল্পনা করেছি। ৬০০ কোটি দিয়ে টালা ট্যাঙ্ক ঢেলে সাজানো হচ্ছে। ২০২৪-র মধ্যে বাংলার গ্রামে গ্রামে পানীয় জল পৌঁছে দেব। কলকাতায় আরও ২০০ পাম্পিং স্টেশন তৈরি করব। তৃণমূল সুপ্রিমোর কথায়, “যতটা পেরেছি, সব করে দিয়েছি, জানুয়ারিতে আবার দুয়ারে ক্যাম্প। আমরা যা বলি, ৩-৪ মাসের মধ্যে করে দিই, এটাই বাকিদের সঙ্গে আমাদের পার্থক্য। আগামী দিনে আমাদের লক্ষ্য শিল্পায়ন আর কর্মসংতৈরি করা।”