16 ডিসেম্বর এই দিনটি বাংলাদেশ এবং ভারতবর্ষ বিজয় দিবস হিসাবে পালন করে।
এই দিনটির সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের বিশেষ আবেগ জড়িয়ে আছে।
এইদিন ১৯৭১ সালে রমনার রেসকোর্স মাঠে বর্তমান সোহরাওয়ার্দী ময়দানে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের সমাপ্তি সূচিত হয়েছিল। পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর নায়ক অর্থাৎ পাকিস্তানের কমান্ডিং অফিসার জেনারেল এ এ কে নিয়াজী ভারতীয় সেনা নায়ক ব্রিগেডিয়ার জগজিৎ সিং অরোরার কাছে আত্মসমর্পণ করেন। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মুক্তিবাহিনীর উপ-সর্বাধিনায়ক ও ডেপুটি চিফ-অফ-স্টাফ গ্রুপ ক্যাপ্টেন আব্দুল করিম খোন্দকার।
এই যুদ্ধে 30 লাখ সাধারণ নাগরিক সহ বুদ্ধিজীবী শহীদের মৃত্যু বরণ করেন এবং আড়াই লাখ নারীর সম্ভ্রমহানি করা হয়।
এই দিন থেকেই বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা এবং বিজয় পতাকা উড্ডীন হল।
বিজয় দিবসঃ স্বাধীনতা তোমাকে
তমাল সাহা
স্বাধীনতা মানে সীমাহীন অনেক কিছু—
সবকিছু পাওয়া।
স্বাধীনতার আগে যতসব ওয়াদা
স্বাধীনতার পর সেসব কিছুই যায় না পাওয়া।
বড় বড় কবিরা লেখে
স্বাধীনতা মানে পাখি উড়াল
স্বাধীনতা মানে উড়ে যাওয়া মেঘ
স্বাধীনতা মানে নির্ভীকতার বেগ
স্বাধীনতা মানে সবুজ স্বদেশ রক্তিম সকাল
স্বাধীনতার ভাষা মানে নাকি কাছে আসা
তোমার আমার স্পর্শ চুম্বন ভালোবাসা!
স্বাধীনতা মানে সব পেয়ে যাবে।
কেউ লেখে না, স্বাধীনতা মানে
অবাধ স্বাধীনতা শুয়ে থাকা বস্তি ছাউনি ফুটপাতে
শিশুটির ছুটে যাওয়া ভিক্ষের বাটি হাতে।
স্বাধীনতা-র পরে বসে না অব্যয় হায়!
স্বাধীনতা যে কত কিছু সেসব লেখা হয়ে গেছে
তুমি খুঁজে পাবে উপমা তুলনা দৃশ্যময়তা তার
বড় বড় কবিদের বইয়ের পাতায়।
বছরের পর বছর
স্বাধীনতা কুব্জ ন্যুব্জ হয়ে হেঁটে যায়…
এরা সব বড় বড় কবি স্বাধীনতাকে মহান করে দেখায়।
আমি খুঁজি স্বাধীনতার অন্য মানে
তারা আমার চেয়েও বেশি দেখে চোখের তীব্রতায়,
প্রজ্ঞায় বেশি জানে।
কত কি বানিয়ে লেখে
তবু কেউ লেখে না—
স্বাধীনতা মানে অনাহার
না-খেতে পাওয়ার মহান অধিকার!