অবতক খবর,১৮ ডিসেম্বর: বসিরহাট মহকুমা বাদুড়িয়া থানার নাগর পুর গ্রামের ঘটনা। ৬, বছর আগে হাসনাবাদ থানা আমলানি গ্রাম পঞ্চায়েতের ঢোলটুকারি রোকেয়া খাতুন এর সঙ্গে বাদুড়িয়া নাগরপুর হাফিজুল মণ্ডল, পেশায় চাষী সঙ্গে বিয়ে হয়। সেই সময় সাধ্যমত মোটরবাইক আসবাবপত্র সোনার গহনা নগদ অর্থ দিয়েছিল।

বিয়ের পর থেকে স্বামীর চাহিদা আরো বেড়ে যায়, বারবার চাইতে থাকে। কিন্তু দুস্ত রোকেয়ার পরিবার দুষ্ট ঠিকমত তাদেরই দুবেলা অন্ন জোটে না কোথা থেকে দেবে ।এই নিয়ে একাধিকবার বচসা, গন্ডগোল, ঝামেলা, তারপরে সালিশি সভা বসলেই সমাধানসূত্র মেলেনি। পর পর শারীরিক মানসিক নির্যাতন বেড়ে চলে বধুর স্বামী শ্বশুর-শাশুড়ি ননদ বিরুদ্ধে এই অভিযোগ। অত্যাচার সহ্য না করতে পেরে এক বছর, আড়াই বছরের দুই সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়িতে চলে আসত।

সম্প্রতি নতুন একটি মোবাইল ফোন কেনা নিয়ে গণ্ডগোল বচসা মারধর হয় গতকাল শুক্রবার রাত্রিবেলা এই নিয়ে পুরো বিষয়টা তার মোবাইল ফোনে জানায় বাপের বাড়ির লোকজনদের। জানায় হঠাৎই বাপের বাড়ির লোকজন জানতে পারে। আজ শনিবার সকাল বেলা তাদের মেয়ে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

লোকজন শ্বশুরবাড়িতে ছুটে গিয়ে দেখে রোকেয়া নেই, হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়েছে। বারবার জানতে চাইলে পুরো ঘটনায় গোপন করার চেষ্টা করে বধুর শ্বশুরবাড়ির লোকজন। মৃত বধুর মা আলেয়া বিবি জামাই হাফিজুল শাশুড়ি ফজিলা সহ চারজনের বিরুদ্ধে হাসনাবাদ থানায় অভিযোগ করেন মেয়েকে পরিকল্পনা করে শ্বাসরোধ করে মেরে ঝুলিয়ে দিয়েছে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বসিরহাট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।আত্মহত্যা না, খুন তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।