অবতক খবর,২৩ ডিসেম্বর: মার্চের মধ্যেই বাকি পুরভোট করতে চায় কমিশন। তবে ৮ দফা নয়। ২ দফায় ভোট করাতে চায় কমিশন। ২২ জানুয়ারি এবং ২৭ ফেব্রুয়ারি, এই দুদিনে ভোট করাতে চায় কমিশন। হাওড়া ও বালি বাদে ১১১টি পুরসভায় মার্চের মধ্যেই ভোট করাতে চায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কমিশন সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। তবে এক্ষেত্রে ওমিক্রনের সংক্রমণের বিষয়টিও মাথায় রাখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, আজ হাইকোর্টে পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী সংক্রান্ত মামলার শুনানি রয়েছে। শুনানি হবে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। প্রসঙ্গত, কলকাতা পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি তোলে বিজেপি । কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল এবং নির্বাচন কমিশন যে বক্তব্য কোর্টে পেশ করেছে, তাতে আদালত মনে করে যে ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের প্রয়োজন নেই। হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তারপর প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করে বিজেপি। কলকাতা পুরভোটের আগেই কেন্দ্রীয় বাহিনী সংক্রান্ত সেই মামলাটির পূর্ণাঙ্গ শুনানি হয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
পরে ওয়েবাসাইটে অর্ডার আপলোড করা হয়। অর্ডারে কলকাতা পুরভোটে বিজেপির করা কেন্দ্রীয় বাহিনীর আবেদন খারিজ করে দেয় ডিভিশন বেঞ্চও। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট জানায় যে, এখনই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের মতো পরিস্থিতি নেই। কমিশন দায়িত্বশীল হয়ে নির্বাচন পরিচালনা করবে। রাজ্য প্রশাসন যথাযথভাবে কমিশনকে সাহায্য করবে। যদি কোনও ঘটনা ঘটে তাহলে যাঁরা দায়িত্বে থাকবেন, তাঁদের উপরই দায়ভার বর্তাবে। এছাড়া নির্বাচনের পর কমিশনকে বিস্তারিত রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে হবে। তবে সেদিন হাইকোর্টে মামলাটির নিষ্পত্তি হয়নি। ২৩ ডিসেম্বর পুরভোটে বাহিনী সংক্রান্ত মামলাটির পরবর্তী শুনানি হবে বলে জানায় ডিভিশন বেঞ্চ।
অতঃপর আজ দুপুরে ডিভিশন বেঞ্চে পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী সংক্রান্ত মামলার শুনানি। কলকাতা পুরভোটে শাসকদলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, রিগিং, ছাপ্পা ভোট, এজেন্টকে বসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগে সরব বিরোধীরা। এই পরিস্থিতিতে ১১১ পুরসভায় ভোটের ক্ষেত্রে কমিশনের কাছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে ফের সরব হয়েছেন বিরোধী নেতৃত্ব। এখন দেখার ডিভিশন বেঞ্চে মামলার গতিপ্রকৃতি কোনদিকে গড়ায়?