অবতক খবর : ব্যারাকপুর মহকুমা জুড়ে চলছে বিজেপি কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ-অসন্তোষ এবং বঞ্চনা। বিভিন্ন সূত্র থেকে দেখা যাচ্ছে যে, বর্তমান যে জেলা সভাপতি রবীন ভট্টাচার্য্য তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তিনি দলকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারছেন না, তৃণমূলের অত্যাচারে অত্যাচারিত যে সমস্ত বিজেপি কর্মীরা রয়েছেন তাদের প্রতি তার কোন নির্দিষ্ট নজর নেই এবং কর্মীদের সঙ্গে তার বিন্দুমাত্র যোগাযোগ নেই বলে তারা বলছেন। উপরন্তু তারা এই অভিযোগ করেছেন যে,এই রবীন ভট্টাচার্য্য পূর্বে তৃণমূলে ছিলেন। বর্তমানে বিজেপিতে এসেই তিনি জেলা সভাপতি হয়ে গিয়েছেন। ফলত তিনি দলটাকে কোন দিকে নিয়ে যাচ্ছেন, বিজেপির উচ্চ নেতৃত্ব সেদিকে লক্ষ্য রাখছেন না কেন? যারা ভূমিপুত্র অঞ্চলে লড়াই করছেন,তারা এখন কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। যেহেতু এই বিজেপি কর্মীরা অত্যাচারিত, ফলে দলের প্রতি বিক্ষুব্ধ হয়ে তারা তৃণমূলে যোগদান করছেন। সে ব্যাপারে রবীন ভট্টাচার্য্যের কি প্রতিক্রিয়া বোঝা যাচ্ছে না এবং দলীয় কর্মীরা কেন ছেড়ে যাচ্ছেন, তাদের সুবিধা অসুবিধা কোথায়,এসব বিষয়ে তিনি কর্মীদের সঙ্গে কোন যোগাযোগ রাখছেন না। ফলত বিক্ষোভ আরো বড়ো আকারে দেখা দিয়েছে।
অভিযোগে তারা জানাচ্ছেন, যখন জেলা সভাপতি ছিলেন সন্দীপ ব্যানার্জী তখন রাজনৈতিক ময়দানে তৃণমূল এবং বিজেপি সমানে সমানে লড়ছিল। পরবর্তীতে যখন সভাপতি নির্বাচিত হন ফাল্গুনী পাত্র,তখন তিনি বিভিন্ন অঞ্চলে সশরীরে গিয়ে যোগাযোগ রাখতেন এবং বিজেপির রাজনৈতিক আক্রমণাত্মক ভূমিকা আগের চেয়েও বেড়েছিল। কিন্তু রবীন ভট্টাচার্য্য ক্ষমতায় আসার পর দেখা যাচ্ছে যে, বিজেপির সমর্থন তলানিতে গিয়ে পৌঁছেছে। উপরন্তু যারা পোড়খাওয়া কর্মী,পুরনো কর্মী তারা বঞ্চিত আর এই রবিভট্টাচার্য্যের আমলে যারা বিজেপি থেকে তৃণমূলে গিয়েছিলেন, তারাই পদ পেয়েছিলেন। কেন পদ পেয়েছিলেন এই বহিরাগত বলে যারা পরিচিত এই কর্মীরা তাদের কেন প্রাধান্য দিয়েছিলেন তারা বুঝতে পারছেন না।
অন্যদিকে এই পুরাতন তৃণমূল কর্মীরা যারা বিজেপি হয়ে গিয়েছেন তারাও এখন আবার সুযোগ নিয়ে তৃণমূলে চলে যাচ্ছেন। এই যে একটা অবস্থা চলছে তাতে বিজেপির যে পুরনো কর্মী যারা বিজেপির গেরুয়া পতাকা-পদ্ম ফুল মার্কা পতাকা আগলে ধরে আছেন তাদের মধ্যে প্রচন্ড বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে।