এই জনপদের সুপরিচিত গল্পকার নাট্যকার জ্যোৎস্নাময় ঘোষ। আজ তার জন্মদিন।
৮ জানুয়ারি ১৯৩৬ তিনি জন্মেছিলেন এবং সাধারণ মানুষের মতোই মরেছিলেন ৮ মার্চ,২০০৮।
জোৎস্না ছড়ায়
তমাল সাহা
নৈহাটি-গরিফা ব্রিজের কাছে থাকতো একটা সাধাসিধে লোক।
তোলপাড় করে তুলেছিল
সেই যুদ্ধরত সত্তর দশক।
লোকটি জামালপুর গাঁয়ে জন্মেছিল।
এসেছিল ময়মনসিংহ জেলা থেকে
যাকে বলে রিফিউজি।
লেখা ছিল তার প্যাসন
শিক্ষকতা ছিল তার জীবনের রুটি-রুজি।
হ্যাভনট ছিল তার লেখার বিষয়
দাপানো সব নাটক গল্প লিখেছিল দুই হাতে।
আয়! বয়! আমার ঘরে।
কেউ ছিল না তার তফাতে।
অইটা বাইরে দাঁড়াইয়া ক্যান?ডাইক্যা আন অরে!
হাতে ছিল লেখা,
আচরণে কতসব জীবন-যাপন।
মানুষের পক্ষে যেখানে লড়াই
সেখানেই তার উপস্থিতি বিলক্ষণ।
ভূমিরক্ষার লড়াই,উচ্ছেদ বিরোধী অভিযান, পরিবেশ বিজ্ঞান আন্দোলন…
আরে ওই দ্যাখ জ্যোৎস্নাদা!
আমাদের খুব কাছের প্রিয়জন।
গেঁয়ো যোগী ভিখ পায় না—
পায়নি সেও বটেই।
চায়নি তো রথে চড়তে, সে তো ছিল পথেই।
তাতে তার কিবা আসে যায়!
সে তো তার মতো
রাস্তা কাঁপিয়ে হেঁটে যায়…
ভিক্ষের মানুষ তো সে নয়!
দুই হাতে হটিয়ে দিয়ে সেই পুরানো প্রবাদ
আজ তাকে করি নীরবে স্মরণ।
ওই দেখো জ্যোৎস্না ছড়ায়, ছড়াতেই থাকে
আলো মাখে বাংলা সাহিত্যের ভুবন।