অবতক খবর,৯ জানুয়ারি,বাঁকুড়া:- বিষ্ণুপুর পুরসভায় নির্বাচন হওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তার মাঝেই ভোটযুদ্ধের প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে। কোথাও প্রার্থী বাছাই এর বৈঠক তো কোথাও দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করতে দেওয়াল লিখন চলছে জোর কদমে। আর তারই মাঝে সাংসদ ও বিধায়কের পারস্পরিক আক্রমণ প্রতি আক্রমণে ক্রমশই রাজনৈতিক উত্তাপ বাড়ছে প্রাচীন মল্লগড়ে।
বাঁকুড়া জেলার তিনটি পুরসভার মধ্যে বিষ্ণুপুর পুরসভায় রাজনৈতিক মারপ্যাঁচ বেশি থাকায় এই পুরসভার নির্বাচনকে ঘিরে এবার বাড়তি আগ্রহ রয়েছে সবকটি রাজনৈতিক দলের। স্বাভাবিক ভাবে এই পুরসভার নির্বাচনের বহু আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে সব দল। নিজেদের ঘর গোছানোর পাশাপাশি একে অপরকে তীব্র আক্রমণ শানাতে কসুর করছে না যুযুধান তৃনমূল ও বিজেপি শিবির। রবিবার বিষ্ণুপুরে বিজেপি কার্যালয়ে নেতা ও কর্মীদের সাথে বৈঠক করে দলের একপ্রস্থ প্রার্থী তালিকা তৈরীর পাশাপাশি নির্বাচনে দলের রণকৌশল ঠিক করেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। বৈঠক শেষে সম্প্রতি দলবদলু বিজেপি বিধায়ক তন্ময় ঘোষকে গদ্দার বলে আক্রমণ করেন। তাঁর বক্তব্য গদ্দারকে হারানোই বিজেপির কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। সবকটি আসনে এদিন জয়ের ব্যাপারে একশো শতাংশ প্রত্যাশা শোনা গেছে সাংসদের গলায়।
নির্বাচনী প্রস্তুতিতে পিছিয়ে নেই তৃনমূলও। বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়ে পরে তৃনমূলে যোগ দেওয়া বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তন্ময় ঘোষ সাত সকালে কর্মীদের সাথে নিয়ে রঙ তুলি হাতে বেরিয়ে পড়েছিলেন দেওয়ালে দেওয়ালে ঘাস ফুলের প্রতীক আঁকতে। বিষ্ণুপুর শহরের স্টেশন মোড় এলাকায় দোকানে দোকানে ঘুরে ঘাসফুলের পক্ষে ভোটদানের আবেদনও জানান বিধায়ক। পরে সাংসদ সৌমিত্র খাঁ কে পালটা পরিযায়ী পাখি বলে এদিন কটাক্ষ করেন বিধায়ক। তাঁর পালটা দাবি, বিষ্ণুপুর শহরে বিজেপি বলে কিছু নেই। এই পুরসভায় ১৯ টি আসনেই তৃনমূল জয় পাবে।