অবতক খবর,১১ জানুয়ারি: ধর্মতলার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে নবম- দ্বাদশ স্তরের মেধাতালিকা ভুক্ত অথচ চাকরি থেকে বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীদের যে ধর্ণা চলছে, আজ তার ৮৭ তম দিন। এই নিয়ে তাদের ন্যায্য চাকরির দাবিতে তৃতীয়বারের জন্য ধর্ণায় বসতে হয়েছে বলে বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
প্রতিশ্রুতির পর প্রতিশ্রুতি। কবে মিটবে তাদের সমস্যা? কবেই বা ফিরে পাবে যোগ্য প্রার্থীগণ তাদের ন্যায্য চাকরি? প্রশ্ন তুলেছেন বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীগণ। আর কতদিন ধর্ণায় বসে থাকতে হবে? মেধাতালিকা ভুক্ত অথচ চাকরি থেকে বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীদের অভিযোগ, তারা মেধাতালিকার সামনের দিকে থেকেও চাকরিতে নিয়োগপত্র পাননি অথচ মেধাতালিকার অনেক পিছনের দিকে থেকেও বহু প্রার্থী কে বেছে বেছে অবৈধভাবে চাকরিতে নিয়োগ করা হয়েছে।
শুধু তাই নয়, মেধাতালিকায় কোথাও নাম নেই এমন ফেলকরা প্রার্থীদের চাকরিতে নিয়োগ করা হয়েছে। যার বহু তথ্য প্রমাণ ধর্ণা মঞ্চের শিক্ষক পদপ্রার্থীদের কাছে রয়েছে , এমনটাই জানিয়েছেন ধর্ণারত শিক্ষক পদপ্রার্থীগণ। তাদের বক্তব্য তথ্য প্রমাণ ই কথা বলবে। অবৈধভাবে কেন নিয়োগ করা হলো? স্কুল সার্ভিস কমিশন শিক্ষক নিয়োগে ক্রমাগত দুর্নীতি করে চলেছে। মেধাতালিকা ভুক্ত সামনের দিকে থাকা যোগ্য শিক্ষক পদপ্রার্থীদের কেন চাকরিতে নিয়োগপত্র দেওয়া হচ্ছে না? রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর ২০১৯ সালে দেওয়া প্রতিশ্রুতি এখনও কেন ই বা কার্যকর হলো না?
একগুচ্ছ অভিযোগ বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীদের। তারা নিউজ চ্যানেলের মাধ্যমে রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, এমনটাই জানিয়েছেন ধর্ণারত শিক্ষক পদপ্রার্থীগণ। তাদের দাবি মেধাতালিকা ভুক্ত অথচ বঞ্চিত সকল শিক্ষক পদপ্রার্থীদের অবিলম্বে চাকরিতে নিয়োগপত্র দিতে হবে।