অবতক খবর,২৮ জানুয়ারি,গংগারামপুর: মংগলবার গংগারামপুর থানার অশোকগ্রাম এলাকার দোমুঠা গ্রামের এক বিজেপি সমর্থকের রহস্য জনক মৃত্যুকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। সেই উত্তেজনা দোমুঠি গ্রামটি আজ রাজ্য সম্পাদক সুকান্ত মজুমদার সহ অনান্য বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব পরিদর্শনে আসেন। পাশাপাশি মৃত বিজেপি সমর্থক নিবাস রায়ের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলেন। যদিও গ্রামে উত্তেজনা থাকায় আগে থেকেই প্রচুর পুলিশ বাহিনী মজুত ছিল। তার উপর বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বরা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসবেন বলে আরো পুলিশ বাহিনী দিয়ে এলাকা মুড়ে ফেলা হয়।

প্রসংগত গত সোমবার এলাকায় এক অন্য গোষ্টীর সম্প্রদায়ের এক যুবককে কে বা কারা সেদিন ভোরে বাড়ি থেকে বেড়োনর সময় উঠিয়ে নিয়ে যায়। তারপর তার মৃতদেহ এলাকার মানুষজন উদ্ধার করে। মৃতের পরিবারের অভিযোগ এলাকার অন্য সম্প্রদায়ের বেশ কয়েকজন যুবকের বিরুদ্ধে। তাদের নামে পুলিশে অভিযোগ ও করা হয় বলে এলাকা সুত্রে ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়। অপরদিকে ঘটনার পর গ্রামে উত্তেজনা দেখা দেওয়ায় পুলিশি টহল শুরু হয়। এদিকে ওই ঘটনার পর দিন রাতের অন্ধকারে কে বা কারা ওই এলাকার বেশ কিছু বাড়ি ঘরের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ।

পাশাপাশি মংগলবার ভোরে ওই আগের দিনের যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় এক অভিযুক্ত নিবাস রায়ের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। নিবাস রায় এলাকার একজন সক্রিয় বিজেপির কর্মী বলে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব ঘটনার একদিন পর দাবি করে। অন্যদিকে পরিবারের অভিযোগ তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে।পরিবারের তরফে আরো অভিযোগ পুলিশ গ্রামে থাকলেও লুঠপাঠ, মহিলাদের শ্লীলতাহানী থেকে বাড়িঘর ভাংগচুড় এমনকি নিবাস রায়কে হত্যা করা সবই হয়েছে গ্রামে পুলিশ থাকা সত্বেও। পুলিশ নির্বিকার দর্শকের ভূমিকায় তো ছিল উলটে পুলিশ ওপর গোষ্ঠীদের বিরুদ্ধে কোন কথা বা অভিযোগ জানাতে নিষেধ করে বলে আজ ক্ষুদ্ধ গ্রামবাসিরা বিজেপির রাজ্য সভাপতির নিকট অভিযোগ জানায়। তাদের আরো অভিযোগ পুলিশ কোন অভিযোগ নিতে চায় নি।

যদিও জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে মংগলবার জানিয়েছেন নিবাস রায় সম্ভনত তার নামে থানায় অভিযোগ জানানোর ভয়ে নিজেই আত্মঘাতি হলেও হয়ে থাকতে পারে। তবে সবটাই তদন্ত ও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর বলা সম্ভব হবে। এদিকে গ্রাম পরিদর্শনের পর গংগারামপুর থানায় এলাকার অভিযোগকারিদের নিয়ে অভিযোগ জানাতে যান সুকান্ত মজুমদার ও রাজ্য বিজেপির নেতৃত্বগন। পরে চাপে পরে পুলিশ অভিযোগ নিতে বাধ্য হয় বলে বিজেপি নেতৃত্বর দাবি।

আজ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ঘটনা পরিদর্শনের পর জানান নিন্দার কোন ভাষা নেই। বাংলাদেশের হিন্দুদের উপর অত্যাচারের সাথে তুলনা করে তিনি বলেন গ্রাম বাসিদের অভিযোগ পুলিশের উপস্থিতিতে তালিবানি এই অত্যাচার গ্রামের একটি গোষ্টীর উপর করা হলেও পুলিশ নির্বিকার ছিল।সুকান্ত বাবুর আরো অভিযোগ এই হামলা যারা চালিয়েছে তারা শুধু বিজেপি র সমর্থকদের বাড়ি আক্রমন চালায় নি।

এলাকার তৃনমুলদের বাড়ির লোকজন ও ঘর বাড়ি ভাংগচুড় চালিয়েছে। অথচ তৃনমুলের প্রধান এই গ্রামের ভয়ে নিশ্চুপ। অনেকে গ্রাম ছাড়া ভয়ে। অবিলম্বে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থ্যা না নিলে তারা রাজ্যব্যাপি আন্দোলনে নামার হুমকি দেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
দোমুঠি গ্রামের উদ্ভুত পরিস্থিতিকে ঘিরে শুধু গংগারামপুর নয় ক্রমশই জেলা ব্যাপি এই উত্তেজনা দেখা দিতে পারে বলে রাজনৈতিক মহলের একাংশ আশংকা প্রকাশ করেছে।