অবতক খবর,১ ফেব্রুয়ারি: চুঁচুড়ায় বিজেপি জেলা কার্যালয়ের সামনে শনি মন্দিরের পাশে মরিচ ঝাঁপি দিবস পালন করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এতদিন পর মরিচ ঝাঁপি কেন প্রাসঙ্গিক হল? শুভেন্দু বলেন,১৯৭৯ সালে বাংলাদেশী উদবাস্তুদের খুন করেছিল বাম সরকার।প্রতিবছরই এই দিন পালন করে বিজেপি।এবারও ৪২ টা সাংগঠনিক জেলায় পালন করা হচ্ছে।পশ্চিমবাংলার মানুষ যেদিন বিজেপিকে ক্ষমতায় আনবে সেদিনই মরিচ ঝাঁপি কান্ডের পূর্নাঙ্গ তদন্ত হবে।তৃনমূল এগার বছর ক্ষমতায় থেকেও কিছু করেনি।হিন্দু উদবাস্তুদের পাশে বিজেপি ছিল আছে থাকবে।
স্কুল খোলা প্রসঙ্গে বলেন,পশ্চিম বাংলার ছাত্র-ছাত্রীদের যে ক্ষতি তৃনমূল সরকার করছে তার ক্ষমা নেই।বিকাশ ভবনে আমরা বারবার যাওয়ার চেষ্টা করেছি সেখানে বাধা দিয়েছে।আমরা শিক্ষা সচিবের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলাম তিনি বলেন টকিং পয়েন্ট জানাতে।পয়েন্ট তো বাংলার ঘরে ঘরে একটাই স্কুল খুলতে হবে।
আর আজ বলছে সাবজুডিস ম্যাটার।মুখ্যমন্ত্রী কথা বলতে পারেন শিক্ষা মন্ত্রী কথা বলতে পারেন তখন সাবজুডিস হয়না।সিপিএম প্রাথমিকে ইংরেজি তুলে দিয়ে কয়েটা প্রজন্মকে পিছিয়ে দিয়েছিল।এরা আড়াই বছর স্কুল বন্ধ রেখে কয়েকটা প্রজন্মকে পিছিয়ে দিচ্ছে।এখানে কোনো ইগোর ব্যাপার নেই কোনো দলের ব্যাপার নেই সামনে কোনো বড় নির্বাচনও নেই তাই স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় গুলো খুলুন।আপনাদের এত গা জোয়ারি কিসের।আসলে এর পিছনে কারন আছে।
উত্তরবঙ্গের তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ কুচবিহারে বক্তৃতায় বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী প্রচুর উন্নয়ন করেছেন। এরপরেও যদি কেউ ভোট না দেয় তাহলে জেনে রাখবেন দুয়ারে প্রহার প্রকল্প আসবে এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে তা কার্যকর করা হবে।
তৃণমূলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ মুখার্জি খরগপুরে গিয়ে বললেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন চলছে। এরপরেও যদি বিরোধীদল ভোট চাইতে যায় বাড়িতে তাহলে থালায় জুতো সাজিয়ে নিয়ে যাবেন আর পটপট করে জুতো মারবেন।
এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন,যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে ভোট দিয়েছে তারা ভালো করে শুনুন তাদের এটা পাওনা আছে। বিশেষ করে কলকাতার কিছু বাঙালি লোকের এটা শোনার দরকার আছে।এদের আসল স্বরূপ এবার প্রকাশ পাচ্ছে।মালের দায়িত্ব আরোহীর যাদের বসিয়েছেন এবার ঠেলা তো বুঝতেই হবে। আমাদের বিধায়ক নিখিল দে উদয়ন গুহর নামে এফআইআর করেছে উদয়ন গুহ ফেরার আছে।নির্বাচন-পরবর্তী হিংসার একাধিক মামলায় অভিযুক্ত উদয়ন গুহ।যে ভাষায় বিএসএফকে গালাগালি দিয়েছে তার থেকে এর বেশি আর কি আশা করা যায়।
সিঙ্গুরে চাষের জমিতে ভেরি হবে।সে প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন ওখানে বরঞ্চ আমরা কিছু মাছ দিয়ে আসব। ভালো করে মাছ চাষ করুন।এখন চপ শিল্প পোল্ট্রিশিল্প কাশফুল শিল্প গাছ থেকে ঝরে যাওয়া পাতা শিল্প হয়েছে এখন লেটেস্ট হল শিল্প-কারখানার জমিতে এখন মাছের ভেরি।এই একটা সরকার এগার বছরে কোন কলকারখানা করেনি।
এদের জমি নীতি হলো নেগেটিভ।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৫ ই মে ক্ষমতায় আসার পরে ভিন রাজ্যে চলে গেছে বন্ধ হয়েছে অনেক কারখানা জুটমিল। ৫ ই মের পরে ৩০ হাজার লোকের কাজ গেছে।পশ্চিমবঙ্গ সর্বনাশের কানা গলিতে ঢুকে গেছে।পেনশনের টাকা পিএফ এর নিজের হকের টাকা পাবেন না।বর্তমান বিধায়কদের বলা হচ্ছে বিল জমা দেবেন না। এই প্রথম সরকারি কর্মচারীরা জানুয়ারি মাসে ডিএ চালু হওয়ার পর থেকে ডিএ পাননি।সরকারি সর্বস্তরের কর্মচারীরা প্রথম জানুয়ারী মাসে ডিএ থেকে বঞ্চিত হল।আমার ধারণা যে তিন শতাংশ ইনক্রিমেন্ট হওয়ার কথা সেটাও দিতে পারবে না। সরকার দেউলিয়া সরকার।