অবতক খবর,১ ফেব্রুয়ারি: করোনা কালে অর্থনৈতিক মন্দগতি, কর্মসংস্থানে সংকট, আর্থিক বৈষম্যের মধ্যেই কেন্দ্রীয় বাজেটে নতুন চমক দিল মোদী সরকার। কেন্দ্রের চার নম্বর বাজেট পড়ার সময় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ঘোষণা করলেন, এবার থেকে ১০০ শতাংশ পোস্ট অফিসকেই কোর ব্যাঙ্কিংয়ের আওতায় আনা হবে।
অর্থাত্ হিসেব করে দেখলে দেশের দেড় লক্ষ পোস্ট অফিস থেকে মিলবে ব্যাঙ্কিং পরিষেবা। দেশের প্রত্যন্ত এলাকার মানুষজন পোস্ট অফিসের ওপরেই বেশি নির্ভরশীল। সেক্ষেত্রে পোস্ট অফিস থেকেই ব্যাঙ্কিংয়ের সমস্ত সুযোগ সুবিধা আনতেই বড় সিদ্ধান্ত মোদী সরকার। দেশের প্রতিটি পোস্ট অফিস থেকেই কোর ব্যাঙ্কিং পরিষেবা পাওয়া যাবে। অনলাইনেই ব্যাঙ্ক থেকে পোস্ট অফিসে টাকা লেনদেন করা যাবে। পাশাপাশি সুবিধা মিলবে এটিএম, নেট ব্যাঙ্কিংয়ের। এই ঘোষণায় স্বভাবতই খুশি সাধারণ মানুষ। আগে ব্যাঙ্ক থেকে যে সমস্ত সুবিধা পাওয়া যেত এবার তা পাওয়া যাবে পোস্ট অফিস থেকেও। টাকাপয়সার লেনদেন তো বটেই, এটিএম পরিষেবাও মিলবে। পোস্ট অফিসের আওতায় থাকবে এটিএম। এমনকী ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট অফিস অ্যাকাউন্টে সহজেই টাকা ট্রান্সফার করা যাবে। এই পরিষেবা গ্রামাঞ্চলের প্রবীণ নাগরিক ও কৃষকদের অনেকটা সুবিধা দেবে। শুধু তাই নয়, ডিজিটাল ব্যাঙ্কিংয়ের সুবিধাও পাওয়া যাবে। তার জন্য দেশের ৭৫টি জেলায় ডিজিটাল ব্যাঙ্কের শাখা খোলা হবে।
আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা কি আরও বাড়বে, গৃহঋণে সুদ কি কমবে, বাজেট নিয়ে আশায় মধ্যবিত্ত। মূল্যবৃদ্ধি এবং বেকারত্ব দূরীকরণই বড় চ্যালেঞ্জ অর্থমন্ত্রীর। প্রত্যাশায় সাধারণ মানুষ।
বাইশ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় প্রায় দ্বিগুণ করা হবে বলে প্রচার চালিয়ে আসছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তা হয়নি। সামনেই পাঁচ রাজ্য়ের বিধানসভা নির্বাচন। এদিকে কৃষি আইনের প্রতিবাদে কার্যত ঝড় বয়ে গেছে দেশে। উত্তরপ্রদেশ ও পাঞ্জাবের একটা বড় অংশের কৃষক মোদী সরকারের ওপরে ক্ষুব্ধ।
কাজেই চাষিদের মন পেতে মরিয়া কেন্দ্র। এবারের বাজেটে তারই প্রতিফলন দেখা গেল। বাজেট পেশের সময় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানান, এবার থেকে কৃষকদের ২.৩৭ লক্ষ কোটি টাকার এমএসপি দেওয়া হবে। সরাসরি কৃষকদের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য হিসাবে এই টাকা দেওয়া হবে। পাশাপাশি, অর্থমন্ত্রী জানান, দেশে তৈলবীজ উত্পাদন বাড়ানোর উপর বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। এর জন্য কৃষকদের ৭ লক্ষ কোটি টাকা ন্যূনতম সহায়ক মূল্য দেওয়া হবে। সেচ ও জল প্রকল্পের ৪৪ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প ঘোষণা করা হয়েছে এদিনের বাজেটে। তাছাড়া বলা হয়েছে, গঙ্গা উপত্যকা এলাকায় প্রাকৃতিক চাষে অর্থাত্ রাসায়নিকের ব্যবহার না করে চাষাবাদে জোর দেওয়া হবে। বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে মিলেট চাষে। এমএসএমইতে ২ লক্ষ কোটি বাড়তি বরাদ্দ করা হচ্ছে। ছোট কৃষকদের প্রয়োজনের কথা বিশেষভাবে মাথায় রাখা হচ্ছে। সহজে পণ্য পরিবহণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।