অবতক খবর,৮ ফেব্রুয়ারি,বাঁকুড়া:- ছোট থেকেই মোবাইল গেমে আসক্তি ছিল। দু একবার হাতে কাটা দাগও দেখেছিলেন পরিবারের লোকজন। সন্দেহ ক্রমশই তীব্র হচ্ছিল। সেই মোবাইলের কোনো মারণ গেমই কী কেড়ে নিল ফুটফুটে ছেলেটির প্রাণ? বাঁকুড়ার সোনামুখী থানার পাঁচাল গ্রামের অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র সায়ন কর্মকারের আত্মহত্যার পর সেই সন্দেহই ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে।
বাঁকুড়ার সোনামুখী থানার পাঁচাল গ্রামের সায়ন কর্মকার ছোট থেকেই অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র হিসাবেই পরিচিত। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর চলতি বছর সর্বভারতীয় নীট পরীক্ষায় ভালো ফল করেছিল সায়ন। ডাক্তারি পরীক্ষায় র্যাঙ্ক হয়েছিল ৩৬৫১১। রাজ্যের মুর্শিদাবাদ, মালদা ও কোচবিহার এই তিনটি মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ মিলেছিল।
কিন্তু মেডিক্যাল কলেজের মুখ দেখার আগেই সব শেষ। আজ সকালে অনেক বেলা পর্যন্ত সায়নের ঘরের দরজা বন্ধ দেখে প্রতিবেশীদের বাড়িতে ডেকে আনেন পরিবারের লোকজন। প্রতিবেশীরাই দরজা ভেঙে দেখেন ফ্যানের পাশের একটি হুক থেকে ওড়না জাতীয় কিছুর মাধ্যমে ঝুলছে সায়নের নিথর দেহ।
এরপর সোনামুখী থানায় খবর দিলে পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে পাঠায়। পরিবারের দাবি সায়ন মারণ কোনো মোবাইল গেমে আসক্ত হয়ে পড়ে থাকতে পারে। তদন্তকারীদের সে কথা জানালে তদন্তকারীরা সায়নের মোবাইল ফোনটি পরীক্ষার জন্য উদ্ধার করে নিয়ে গেছে। সেই মোবাইল গেমের আসক্তিই কী শেষ পর্যন্ত প্রাণ কেড়ে নিল মেধাবী ওই কিশোরের? খতিয়ে দেখছেন পুলিশ আধিকারিকরা।