ঝিকিমিকি তারা নয়, শোকস্তব্ধ রাত!
মাঙ্গলিক সন্ধ্যায় কে চলে যায়?

গানে মোর ইন্দ্রধনু
তমাল সাহা

জানিনা ফুরাবে কবে এই পথ চাওয়া
কবে শেষ হবে এই জীবনের গান গাওয়া।
এই পথ যদি না শেষ হয়
তবু থেকে যাবে
গানে মোর কোন ইন্দ্রধনু।
বলবে সবাই–
এ শুধু গানের দিন
তুমি না হয় রহিতে কাছে।

অনেক দূরে ওই যে আকাশ নীল হলো।
কে তুমি আমারে ডাকো অলখে থাকো
ফিরে ফিরে চাই দেখিতে না পাই!
বারবার কত যে আমন্ত্রণ তোমার!
এই সাঁঝ ঝরা লগনে আজ কে ডাকে আমায়?
কত কি যে গাও তুমি–
মধু মালতি ডাকে আয়
ফুল ফাগুনের এ খেলায়।
এখন আবার কি খেলবে তুমি গন্ধর্ব সভায়?

মায়াবতী মেঘে এলো তন্দ্রা….
ঘুমঘোরে তুমি কি বলবে তখন?
অনেক কেঁদেছি আমি তোমায় ভালোবেসে
আর কি বলবে?
অনেক হারিয়েছি আমি তোমার কাছে এসে।
অথচ এই মাটি, এই জল–
তোমার কি আশ্চর্য আকুতি!
ঝরা ফুলে ভরা এই সমাধিস্থল
এইতো আমার মাটির বাসর প্রেমের তাজমহল।

তোমার সুরধ্বনিতে আজও জেগে আছে তারা–
ঝরা পাতা আর ঝড়ে নেভা দীপ যারা
তোমাদের এই পৃথিবীতে যাদের নাম লেখে নাই ইতিহাস
মোর এই গান খুঁজে ফেরে সেই নীরব দীর্ঘশ্বাস।
কান পেতো শোনো
আজও সেই সূরধ্বনিতে আকুল বাতাস।

চন্দন পালঙ্কে শুয়ে একা একা কি হবে
জীবনে তোমায় যদি পেলাম না!
শ্বেত পাথরের রাজপ্রাসাদে থেকে আর কি হবে জীবনে তোমায় যদি পেলাম না!
তবে বলো, একবার বলো,
এখন তুমি কোন জীবনের দিকে যাও?
একবার ফেরো, আমাদের দিকে তাকাও।

তোমার কি মনে পড়ে এখন, সেইসব–
ঘুম ঘুম চাঁদ ঝিকিমিকি তারা।
হয়তো কিছুই নাহি পাবো।
ওগো মোর গীতিময়!
কে তুমি আমারে ডাকো?
মনের মাধুরী মিশায়ে–
আকাশের অস্তরাগে মিশে থাকো!

শান্তরবে তুমি শুধু উত্তরে বলো,
আমি শুধু গেয়ে যাবো–
তুমি নির্মল করো, মঙ্গল করো
তুমি নির্মল করো, মঙ্গল করো…

বিশাল মঞ্চ বাঁধা হয়েছে জ্যোতিষ্কলোকে—
চারিদিকে ঐশ্বর্যময় আলো।
সন্ধ্যা কাটিয়ে নাক্ষত্রিক রজনী এলো।

ঘোষণা হলো মন্দ্রকন্ঠে ইন্দ্রসভায়—
এবার মঞ্চে আসছেন
মর্ত্যলোক থেকে অমর্ত্যলোকে
সঙ্গীত পরিবেশনে–
গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়!