অবতক খবর,২৪ ফেব্রুয়ারি,বাঁকুড়া:- এক শিক্ষকের আত্মহত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল বাঁকুড়ার সোনামুখী থানার রামপুর এলাকা, পড়ুয়া ও প্রাক্তনীদের লাগাতার পথ অবরোধ সরাতে মৃদু লাঠিচার্জ পুলিশের।
এক শিক্ষকের আত্মহত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হল বাঁকুড়ার সোনামুখী থানার রামপুর হাইস্কুল সংলগ্ন এলাকা। ওই শিক্ষকের আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত স্কুলেরই দুই শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে আজ দুপুরে লাগাতার পথ অবরোধ শুরু করে পড়ুয়া ও স্কুলের প্রাক্তনীরা। অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশের সাথে ব্যাপক ধাক্কাধাক্কি হয়। পুলিশকে লক্ষ করে পাথর ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। এরপরই পুলিশ মৃদু লাঠিচার্জ করে পড়ুয়াদের হঠিয়ে দেয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় গতকাল রামপুর হাইস্কুলে পড়ুয়াদের ভ্যাকসিন দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হয় ওই স্কুলের শিক্ষক কার্তিক চৌধুরীর সঙ্গে স্কুলেরই কয়েকজন শিক্ষক শিক্ষিকার। পরে কার্তিক গরাই নিজের গঙ্গাজলঘাটি ব্লকের কালজুড়ি গ্রামে নিজের বাড়িতে ফিরে গিয়ে আত্মহত্যা করেন। পড়ুয়াদের সামনে স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের একাংশ অপমান করাতেই কার্তিক চৌধুরী এমন চরম সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন বলে অভিযোগ ওঠে। আজ স্কুলের পড়ুয়ারা স্কুলে গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক শিক্ষিকাদের শাস্তির দাবিতে সরব হয়। স্কুলে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি স্কুলের পাশেই থাকা বাঁকুড়া সোনামুখী রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকা পড়ুয়ারা। পড়ুয়াদের এই বিক্ষোভ অবরোধে যোগ দেন স্কুলের প্রাক্তনীরা। পুলিশ অবরোধস্থলে গেলে দুপক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়।
অভিযোগ এর মাঝেই পুলিশ কে লক্ষ করে ইট পাটকেল ছোঁড়ে অবরোধকারীরা। এরপরই পুলিশ মৃদু লাঠিচার্জ করে অবরোধকারীদের হঠিয়ে দেয়। পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষিকা সংযুক্তা কর্মকার ও আরেক শিক্ষককে সোনামুখী থানায় নিয়ে যায়। পড়ুয়া ও প্রাক্তনীরা কার্তিক চৌধুরীকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষক ও শিক্ষিকার কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষিকা জানিয়েছেন প্রয়াত কার্তিক চৌধুরীর সাথে তিনি কোনো খারাপ ব্যবহার করেননি। এখন তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে।