অবতক খবর,৪ মার্চ,মালদা: কুল চাষ করার জন্য কুল গাছে জাল লাগানো হয়েছে। যাতে ফল নষ্ট না হয়। কিন্তু সেই জালে আটকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে বিভিন্ন জাতের পরিযায়ী পাখিদের। এই ভাবে পাখিদের মৃত্যু হলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে মত পশু প্রেমীদের। জাল লাগানো ছাড়া ফল বাঁচানোর কোনো উপায় ছিল না বলছে কুলচাষী।
মালদহ জেলার হরিশচন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত হরিশ্চন্দ্রপুর হাইস্কুলের পেছনে মহুয়া পাড়ায় কুল চাষ করা হয়েছে। কুল চাষ করেছেন সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দা নাজিমা বিবি। এই কুল চাষের ওপর তাদের জীবন জীবিকা নির্ভর করে। ফলে ফল যাতে নষ্ট না হয় তার জন্য সমগ্র গাছ জাল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে।
সে ক্ষেত্রে পাখিদের হাত থেকে বা ঝড় বৃষ্টি হলেও ফল নষ্ট হবে না। কিন্তু শীতের শেষের দিকে সেখানে ভিড় জমিয়েছিল বিভিন্ন জাতের পরিযায়ী পাখি। আর সেখানে ঘটে বিপত্তি। জালে আটকে মৃত্যু হয় অনেক গুলো পরিযায়ী পাখির। এত গুলো পাখির এক সাথে মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। পশু প্রেমীদের মত চাষ এমনভাবে করতে হবে যাতে এই ভাবে পাখি না মারা যায়।
পশু প্রেমী স্থানীয় বাসিন্দা কৃষ্ণ পাসওয়ান বলেন, আমি এই দিক দিয়ে যাতায়াত করি। দেখতে পাই জালে আটকে অনেক গুলো পাখি মারা গিয়েছে। খুব খারাপ লাগে দেখে। চাষ তো অবশ্যই করবে কিন্তু নজর রাখতে হবে সাথে পাখি যাতে না মারা যায়। না হলে আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে।
চাষী নাজিমা বিবি বলেন, এই চাষের ওপর নির্ভর করে আমাদের জীবীকা নির্বাহ হয়। জাল না লাগালে ফল নষ্ট হয়ে যাবে। আগে আমার স্বামী পাহারা দিত পাখিরা এলে ভাগিয়ে দিতো। স্বামিও এই বছর অসুস্থ। প্রথমে পাখি এসেছিল না শেষের দিকে এল। আমিও দেখেছি কয়েকটি পাখি মারা গেছে। ”
পরিযায়ী পাখিদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির পাখি থাকে। যাদের সংরক্ষণ করা অবশ্যই উচিত, না তো পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে। পরিবেশ দপ্তরের পক্ষ থেকে কঠোর ভাবে বলা আছে যাতে কেউ পাখি না মারে। তাই এই চাষের ওপর তাদের জীবন জীবিকা নির্ভর করলেও মাথায় রাখতে হবে কোন ভাবে যাতে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট না হয়। পরিবেশ সুস্থ থাকলে আমরা সুস্থ থাকব।আর আমরা সুস্থ থাকলে জীবন-জীবিকা সব ঠিক থাকবে।