অবতক খবর,১৫ মার্চ: সোমবার সকালে দক্ষিণ 24 পরগনা জেলার ঢোলাহাট থানার অন্তর্গত হরিণডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা শ্যামলেন্দু পুরাকাইত বয়স আনুমানিক ৫৪, তিনি পেশায় একজন মুদিখানা দোকানের মালিক, স্ত্রী এবং দুই বাচ্চা নিয়ে তাদের পরিবার, বড় ছেলেটি এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে, ছোট ছেলেটি স্থানীয় স্কুলে পড়ছে।আর্থিক দিক থেকে পরিবারটি স্বচ্ছল।
মাঠের স্যালো ঘরের গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায় আজ সকালে বাড়ি থেকে রোজকার মতন টিফিন করে মাঠে যায় চাষের জমি দেখতে,বেশ কিছুক্ষণ বাড়িতে না ফেরায় বাড়ীর লোকেরা খোঁজ শুরু করে। পরবর্তীতে স্যালো মালিক জমিতে জল ছাড়তে গিয়ে দেখে স্যালো ঘরে নেটের জাল দিয়ে বাঁশের সাথে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছে শ্যামলেন্দু পুরকাইত, আচমকা এই ঝুলন্ত দেহ দেখে স্যালো মালিক গ্রামে গিয়ে খবর দেয়, এবং তড়িঘড়ি গ্রামের লোক সেখানে ভিড় জমান, পরিবার সূত্রে জানা যায় তাদের মধ্যে কোন সমস্যা ছিল না আচমকা কেন এমন পদক্ষেপ বেছে নিল তারা বুঝে উঠতে পারছে না।

তবে স্থানীয় সূত্রে খবর স্ত্রীর সাথে জমি জায়গা সংক্রান্ত কিছু বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে সপ্তাহ খানেক অশান্তি চলছিল, সেই কারণে এমন পদক্ষেপ নিতে পারে বলে বেশ কিছু মানুষের দাবী।

তবে এই ঘটনায় খবর পেয়ে প্রথমে স্থানীয় সিভিক ভলান্টিয়ার আসে এবং ঢোলাহাট থানায় খবর দেয়, পরে ঘটনাস্থলে ঢোলাহাট থানা পুলিশ এসে বডি নামিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়।

পারিবারিক অশান্তি না অন্য কোনো কারনে এমন সিদ্ধান্ত নিল স্থানীয়রা ধন্দে রয়েছেন।পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে ঢোলাহাট থানার পুলিশ।