বসন্ত মেতেছে কবিতার বাতাসে
কবিতার বিষয় আশয়
তমাল সাহা
এক) কবিতার খিদে
হায় কবি!
এক কবি মরলো রক্ত উঠলো কেশে কেশে
এক কবির লাশ গায়েব হয়ে গেল অবশেষে
কত কবির দেহ রক্তে গেল ভেসে
এক কবির মৃতদেহ রইলো পড়ে চারজন শববাহী নিয়ে গেল শেষে
কবি মরে যায়, কবিতা শব্দের সমাবেশ তবুও জীবিত
কবিতা খায় কাব্যপ্রেমীরা তারা খুবই ক্ষুধিত
দুই) কবিতা তোকে
এই চাঁদ সূর্য পৃথিবী অনন্য শুধু কবিতার জন্য
এই কবিতা এক নারী আমৃত্যু হাত ধরাধরি
এই কবিতার জন্য আমাদের জন্ম।
তুমি যত দূর যেতে চাও, যাও…
ভালোবাসার জন্য কবিতার দিকে হাত বাড়াও।
তিন) কবিতা
কবিতায় কবি আছে, সঙ্গে আছে প্রত্যয় তা, তা মানে ওম।
কবিতার পাণ্ডুলিপি বুকে রেখে চলে যাব
কোনদিনও ছুঁতে পারবে না যম।
চার) কবি নয়, কবিতা
যা সত্য বাস্তব
সেটাই কবিতার অনুভব।
কবি মুদ্রা মোহর চেনে
কবিতা জীবনের স্তব।
পাঁচ) কবিতার বাড়ি
তুমি না এলেও তোমার বাড়ি যাবো, বারবার কড়া নাড়বো।
তোমাকে স্পর্শ করে ওষ্ঠে চুম্বন রাখবো, তোমাকে খুব খুব ভালবাসবো।
তোমাকে ছাড়া, বাঁচে কি বসুধা, এই ধরা!
ছয়) কবিতা নির্মাণ
বিশ্ব কবিতা দিবস একদিন আমার কবিতা উৎসব প্রতিদিন
যারা জানার তারা জানে প্রতিক্ষণ আমার কবিতার মুহূর্ত
কবিতা আমার মনে প্রাণে ঘ্রাণে
তাই কবিতা নিয়ে আমার নেই কোনো লোকদেখানো আহামরি
পটুয়ার মতো অক্ষর ছেনে আমি যখন তখন কবিতা গড়তে পারি