অবতক খবর,২২ মার্চ: যোগ অনুশীলনকারী, স্বামী শিবানন্দ, যোগার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য সোমবার পদ্মশ্রীতে ভূষিত হয়েছেন। শিবানন্দ সম্ভবত দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বয়স্ক পদ্ম পুরস্কার বিজয়ী। তবে পুরস্কারগ্রহণের আগে তাঁর মুদ্রা দেখে সকলে উচ্ছ্বসিত। যোগগুরুর সামনে মাথা নোয়ালেন প্রধানমন্ত্রী মোদিও । তার আগে ১২৫ বছর বয়সের যোগগুরু সকলের সামনে নতজানু হন। এত অবলীলায় কীভাবে তিনি কার্পেটে হাঁটু মুড়ে, মাটিতে মাথা ঠেকালেন, তা দেখে তাজ্জব সকলে।
স্বামী শিবানন্দ ভারতীয় জীবনধারা এবং যোগব্যায়ামের ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। এমনকি 126 বছর বয়সেও, স্বামী শিবানন্দ একজন কিশোরের মতো ফিট এবং সুস্থ। স্বামী শিবানন্দের জীবন কাহিনি একটি অলৌকিক ঘটনার থেকে কম নয়। স্বামী শিবানন্দের পাসপোর্ট অনুসারে, তিনি ১৮৯৬ সালের ৮ আগস্ট তাঁর জন্ম। জানা গিয়েছে, গুরুতর আর্থিক সঙ্কটের কারণে, তাঁর বাবা-মা ৪ বছর বয়সে বাবা ওমকারানন্দ গোস্বামীর কাছে দান করেন। তিনিই স্বামী শিবানন্দকে লালনপালন করেন, দীক্ষা দেন। কিছুদিন পর শিবানন্দের বোন, মা ও বাবা মারা যান। স্বামী শিবানন্দ কাশীর বাসিন্দা ।
তিনি সেখানে দুর্গাকুণ্ডে অবস্থিত শিবানন্দ আশ্রম পরিচালনা করেন। স্বামী শিবানন্দের যোগব্যায়াম এবং ধর্মের প্রতি অনুরাগের কথা বহু প্রচলিত। তাঁর দাবি, নিয়মিত যোগব্যায়াম অভ্যাস করে, মানুষ সুস্থ দীর্ঘ জীবনযাপন সুস্থ ভাবে যাপন করতে পারে। বিদেশি অনুরাগীদের আমন্ত্রণে তিনি ইংল্যান্ড, গ্রিস, ফ্রান্স, স্পেন, অস্ট্রিয়া, ইতালি, হাঙ্গেরি, রাশিয়া, পোল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড, জার্মানি, বুলগেরিয়া, যুক্তরাজ্যসহ অর্ধশতাধিক দেশ সফর করেছেন।
প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে পদ্ম পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। পদ্ম পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে এদিন মোট ১২৮ জন হাজির ছিলেন। এর মধ্যে চারজনকে পদ্মবিভূষণ, ১৭ জনকে পদ্মভূষণ এবং ১০৭ জনকে পদ্মশ্রী দেওয়া হয়েছে।