অবতক খবর,২৪ র্মাচ: মারা গেলেন টলিউড অভিনেতা অভিষেক চ্যাটার্জী। গতকালক হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়ে একটি বেসরকারি হসপিটালে ভর্তি হন তিনি। তারপরেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অভিনেতা অভিষেক চ্যাটার্জীকে 58 বছর বয়সেই হৃদ রোগে আক্রান্ত হয়ে চলে যেতে হল। অভিনেতা অভিষেক চ্যাটার্জী দর্শকদের বহু ভালো ভালো সিনেমা উপহার দিয়েছেন। তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ গোটা টলিউড এবং তাঁর অনুগামীরা।
সোমবার রাতে শ্যুটিং চলাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার পর গভীর রাতে বাড়িতে মৃত্যু হয়। তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন বলে জানা যাচ্ছে।
নব্বইয়ের দশকে বাংলা চলচ্চিত্র জগতের অন্যতম ব্যস্ত অভিনেতা ছিলেন অভিষেক। এক সময় প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, তাপস পালদের সঙ্গে একসারিতে নাম উঠে আসত তাঁর। উৎপল দত্ত, সন্ধ্যা রায়ের মতো প্রতিভাশালী অভিনেতাদের সঙ্গে পর্দায় দেখা গিয়েছে তাঁকে। কাজ করেছেন শতাব্দি রায়, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর মতো সমসাময়িক প্রথম সারির অভিনেত্রীদের সঙ্গেও চুটিয়ে কাজ করেছেন।
১৯৬৪ সালের ৩০ এপ্রিল জন্ম অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের। ১৯৮৬-তে তরুণ মজুমদারের ছবি পথভোলা দিয়ে সিনেমায় যাত্রা শুরু। তাঁর অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবিগুলি হল, ‘দহন’, ‘বাড়িওয়ালি’, ‘মধুর মিলন’ , ‘মায়ের আঁচল’, ‘আলো’,’নীলাচলে কিরীটি’। শুধু বড় পর্দা নয় ছোট পর্দাতেও তিনি সমানভাবে সাবলীল অভিনয় করে দর্শকদের প্রশংসা পেয়েছেন।
তবে দীর্ঘ দিন টলিউড থেকে অনুপস্থিত ছিলেন তিনি। সেই নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আক্ষেপের সুরও ধরা পড়ে তাঁর গলায়। প্রথম সারির অভিবেতা হয়েও বঞ্চনার শিকার হতে বলে অভিযোগ করেন। জানান, একের পর এক ছবি থেকে বাদ পড়তে হয়েছিল তাঁকে, তা-ও টলিউডের রাজনীতির জন্য। সেই সময় যাত্রা, মাচা করে সংসার চালাতে হয় তাঁকে।
তার পরে গত কয়েক বছর ধরে টেলিভিশনে চুটিয়ে অভিনয় করছিলেন অভিষেক। ‘ইচ্ছেনদী’, ‘পিতা’, ‘অপুর সংসা’, ‘অন্দরমহল’, ‘কুসুম দোলা’, ‘ফাগুন বউ’, ‘খড়কুটো’র মতো সিরিয়ালে তাঁর অভিনয় মন জিতে নিয়েছিল দর্শকের। আচমকা তাঁর মৃত্যুর এই খবরে শোকস্তব্ধ বাংলার বিনোদন জগৎ।