অবতক খবর,২৫ মার্চ,মলয় দে,নদীয়া:- “শুধু বিঘে দুই ,ছিল মোর ভুঁই”
না এদের দুই বিঘা তো দূরের কথা ২ ছটাকও জমি নেই, ভূমি দপ্তর এর ভাষায় এরা ভূমিহীন কৃষক ।
মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন ভূমিহীন কৃষকের মাঝে জমির পাট্টা দেওয়ার ব্যবস্থা করলেও, তারই দলের পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী শতাধিক কৃষকের একমাত্র সম্বল কেড়ে নিতে আগ্নেয় অস্ত্র মৃত্যু হুমকি দিয়ে চলেছেন প্রতিনিয়ত।
নব্বইয়ের দশকে বাম আমলে ভূমিহীন কৃষকদের সরকারি খাস জমির পাট্টা প্রদান করা হয়েছিল এরা সেই পাট্টা প্রাপক প্রান্তিক ভূমিহীন চাষী। কেউ ১০ আবার কেউ ২০ শতক জমি নিয়ে কোনরকমে দিন গুজরান করেন। সবই চলছিল ঠিকঠাক ,বাধসাধলেন নারায়নপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী মতিরুল ইসলাম ।তেহটটো ব্লকের আসলাম পুর মৌজার জলঙ্গী নদীর পাড়ের প্রায় দেড়শ বিঘা পাট্টা প্রদত্ত খাস জমির উপরে নজর পড়ে তার। চাষীদের অভিযোগ” মাসখানেক আগে মতি রুল সদলবলে অস্ত্রশস্ত্র সমেত জমি দখলে আসে এবং বেশিরভাগ জমি দখলও করে নেয়” ।
এমনই এক কৃষক তোয়াজা আলী গাইন জানাচ্ছেন” ।রাতের অন্ধকারে নয় দিনের আলোতে আমরা যখন চাষ করছিলাম বন্দুক নিয়ে এসে আমাদের জমি থেকে তাড়িয়ে দিল ,বলল কাল থেকে জমিতে আসলে লাশ পড়ে যাবে “।অন্য এক ভুক্তভোগী কৃষক শাহাদাত শেখ ছেঁড়া লুঙ্গি দিয়ে চোখ মুছতে মুছতে জানাচ্ছেন” ওইটুকুই তো সম্বল, দলটাও তো তৃণমূলী করি, তবুও কেন যে জমি হারা হতে হলো বুঝতে পারছিনা? বাম আমলেও কংগ্রেস করেছি তবুও জমি পেয়েছি ।
আজ নিজের দলের রাজত্ব, জমি দখল করে নিচ্ছে নিজের দলেরই পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী এর থেকে দুঃখের আর কি হতে পারে”লম্বা কাগজের দস্তাবেজ বের করে ফেরদৌস শেখ 11 দেখাচ্ছেন বিএলআরও থেকে শুরু করে পুলিশ বিডিও সবাইকে জানিয়েও সুরাহা হয়নি ।মতিরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।নারায়ণপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান এ বিষয়ে মন্তব্য করেননি।
গতকাল তেহটটো মহাকুমা পুলিশ প্রশাসকের কাছে ডেপুটেশন জমা দিলেন সর্বসম্মতভাবে, সুবিচারের আশায় ।