অবতক খবর,২৬ মার্চ:  নৈহাটি বিধানসভার অন্তর্গত জেঠিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত অঞ্চলে ৬৬টি ওয়ার্ড থেকে ৬৭টি ওয়ার্ড হয়েছে। সেখানে বিগত ৪-৫ বছর ধরে একটি বেআইনি নির্মাণ করে রেখেছিলেন অজয় দে নামে এক ব্যক্তি। যিনি নান্না হসপিটালের ঠিক উল্টো দিকেই বসবাস করেন। তিনি রেল কর্মচারী ছিলেন, বর্তমানে তিনি এখন এলআইসিতে কর্মরত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তিনি জেঠিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কিছু নেতাদের সঙ্গে নিয়ে সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে বাড়ির তৃতীয় তল নির্মাণ করেছেন।

শুধু তাই নয়, তিনি তাঁর প্রতিবেশী সঞ্জয় ভট্টাচার্যের জায়গা দখল করে সেখানেও প্রাচীর তুলে দিয়েছিলেন। এ বিষয়ে বহুবার সঞ্জয়বাবু তাঁর কাছে অভিযোগ করেছেন,কি তিনি কোনো কর্ণপাত করেননি। উপরন্তু পাড়ার কিছু মস্তানদের নিয়ে তিনি সঞ্জয়বাবুকে চমকে ধমকে রেখেছিলেন। ‌ কিন্তু কোনো কিছুকে ভয় না পেয়ে সঞ্জয়বাবু প্রথমে ব্যারাকপুর কোর্টে একটি মামলা করেছিলেন। যতবারই এই মামলার শুনানি হয়েছে ততবারই অনুপস্থিত ছিলেন অজয় দে। এর পরবর্তীতে সঞ্জয়বাবু হাইকোর্টে একটি মামলা করেন। হাইকোর্টের শুনানিতেও তিনি যেতেন না। ২০১৯ সাল থেকে এইভাবেই চলতে থাকে। অবশেষে আজ এই মামলার রায় ঘোষণা হয়েছে।

সেই রায়ে বলা হয়েছে অজয় বাবু যে বেআইনি নির্মাণ করেছেন তা অতিসত্বর ভেঙে ফেলতে হবে। অন্যদিকে আগামী ৩১শে মার্চের মধ্যে বীজপুর থানা,জেঠিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে এবং হাইকোর্টে ছবি সহ সেই রিপোর্ট জমা দিতে হবে।

আজ ওই বাড়িতে যান বীজপুর পুলিশ প্রশাসন, আইনজীবীরা এবং পঞ্চায়েত প্রধান। তারা সেখানে গিয়ে বেআইনি নির্মাণ ভাঙ্গতে শুরু করেন।

এ প্রসঙ্গে সঞ্জয়বাবু বলেন, আমার আইনের উপর সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আমি কোন ঝগড়া অশান্তিতে যেতে চাই না। সমস্তটাই আইনি পর্যায়ভুক্ত এবং আইন মেনেই হবে।

কিন্তু এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে, কার মদতে এই এত বড় বেআইনি নির্মাণ করা হলো? কার হাত রয়েছে এর পিছনে? আর এইরকম বেআইনি নির্মাণ করতে এত সাহসই বা পেলেন কি করে অজয় বাবু? তারা কি আদৌ ধরা পড়বে বা শাস্তি পাবে? কারণ যিনি এই বেআইনি নির্মাণ করেছেন তিনি তো অপরাধী এবং যারা এর মদত দিয়েছেন তারা আরও বড় অপরাধী। ‌

আর এই নির্মাণ যখন হচ্ছিল তখন পঞ্চায়েত কেন কোনো হস্তক্ষেপ করেনি?কেন তখন তারা নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন? তবে কি এই পঞ্চায়েতের আধিকারিকরা সরাসরি যুক্ত রয়েছে এই বেআইনী কাজে? এত প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।