আলোড়ন তুলেছিল কলকাতা। সুদীপ্ত শহিদ হয়েছিল । লিখি আর একটি শহিদ কথা, যাকে ভুলে গিয়েছে এই পার্টি, এইসব স্থানীয় লোকদেখানো ভণ্ড নেতা!
শহীদ বিষাদ গাথা
তমাল সাহা
সুদীপ্ত মইদুল আনিস, এরা শহিদ– সকলেই জানে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রচারের কারণে।
এদের শহিদত্ব পণ্য হয়ে যায় ভোটের কল্যাণে।
দেখি আর শিখি শহিদ দিবস পালন হয় এখন দলীয় বিভাজনে।
শহিদ! তোকে জিজ্ঞেস করি, তুই ছিলি কোন দলের?
আসলে তুই তো ছিলি প্রতীক আন্দোলনের।
আন্দোলনে শ্লোগান শুনি, লড়াই! লড়াই,লড়াই, চাই– কী জোরে চিৎকার বারবার!
দেখি সেই আন্দোলনে রাজনৈতিক ঐক্য ভেঙে চুরমার!
আরো বলি শোনো, অপোগন্ড এই লেখুয়ার গুরুত্ব নেই কোনো।
আটান্ন বছর আগে কোনোদিন এইখানে এক তরুণ থাকতো দীনবসু লেনে।
শেষ পর্যন্ত রক্তাক্ত শহিদ হয়ে যায়
সেই প্রবাদের সত্যতা প্রমাণ হয়ে যায়–
গেঁয়ো যোগী ভিখ পায় না নিজের গাঁয়ে কাঁচরাপাড়ায়।
শিক্ষক আন্দোলনে ধোবি পুকুর রোডে প্রথম ছাত্র শহিদ হিসেবে সে লেখে বিশ্বের ইতিহাস।
তখন বসন্ত মাস, রক্তিম অশোক ঝরে পড়ে কালো অ্যাসফল্টের রাস্তায় মাতায় বাতাস।
তার কথা নেই কারো স্মরণে!
গিয়ে দেখি শহিদ বেদি ধুলো মাখা, নোংরা জমে ওই জঙ্গলাকীর্ণ কোণে।
ছবিঃ প্রতীকী