১৪ নভেম্বর ছিল শিশু দিবস। রাজ্য সরকার হাসিখুশি শিশুদের নিয়ে বিশাল বিজ্ঞাপনী প্রচার দিয়েছেন। রাজ্যপালও ফুলটুস শিশুদের আদর করেছেন। আর এই অন্য শিশুরা যারা ফুটপাতে, ইস্টিশনে রাত কাটায় তারা দিবস-টিবস কিছুই জানে না।এটা কি খায়,না মাথায় দেয়?
শিশুদিবস
তমাল সাহা
আজ শিশুদিবস
হিসেব করুন, বস!
কত শিশু শ্রম বেচে খায়
কত শিশু কাগজ কুড়ায়।
কত শিশু গেছে ভাগাড়ে
খুঁজতে খাবার
শিশুদিবসে শিশু নেই,
জন্মদিবস পালন কার?
শিশুকে কখনও
বইতে দেখেছেন কি
আটটি ইট মাথায়!
যদি দেখতে চান
চলুন যাই ইটভাটায়।
কখনও দেখেছেন কি
ধুতে গিয়ে চায়ের কাপ,
কত শিশু চামচ,
ঘুগনির প্লেট চেটে খায়
মরে গিয়েছে মা-বাপ!
কত শিশু কাজ করে
বারুদঘরে বাজি কারখানায়।
বছরে কত শিশু অপুষ্টিতে মরে
পথে পথে বাটি হাতে ঘুরে বেড়ায়।
কত শিশু কাজ করে
কাশ্মীরি শিল্প কার্পেটে
কত মজুরি পায় জানো কি,
মুনাফা যায় কার পেটে?
কত শিশু রেস্টুরেন্টে কাজ করে
হয়ে গিয়েছে বয়।
এভাবে এ দেশে শিশু শ্রমিকেরও
ইংরেজি শিক্ষা হয়!
অনাহার, অপুষ্টি দারিদ্র্যের আছে সূচক
কোমর মাপার আছে ফিতে।
পেটে খিদের গর্ত পরিমাপ যন্ত্র
এখনও আবিষ্কৃত হয়নি পৃথিবীতে।