অবতক খবর,১০ এপ্রিল,নদিয়া: হাঁসখালিতে নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার তৃণমূল নেতার ছেলে। তার বিরুদ্ধে গত শনিবার হাঁসখালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন নাবালিকার বাবা-মা। চাইল্ড লাইনের সহযোগিতায় নির্যাতিতার পরিবার ঘটনার চার দিন পর বিচারের আশায় প্রশাসনের দ্বারস্থ হন। রবিবার সকালে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকে পুলিশ। সূত্রের খবর, জেরায় একাধিক অসঙ্গতি মিলেছে। রবিবার সকালে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
শনিবার রাতে থানায় অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর থেকেই কার্যত বেপাত্তা অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা। ছেলে হাজতে। সপরিবারের ‘আত্মগোপন’ করেছেন তৃণমূল নেতা। রবিবার সকালে হাঁসখালিতে ওই তৃণমূল নেতার বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল দরজা বন্ধ বাইরে থেকে। একতলার অ্যাসবেস্টার আর টিনের ঘর। সামনে অনেকটা উন্মুক্ত প্রাঙ্গণ। তবে তাঁরই এক প্রতিবেশী মহিলা বলছেন, “ওরা হয়তো জামাইয়ের বাড়িতে গিয়েছে। তাও তো এক সপ্তাহের বেশি হয়েছে।” আরেক প্রতিবেশী শুধু বললেন, ‘কিছু জানি না।’
তবে দূরে দাঁড়িয়ে ছিলেন আরেক প্রৌঢ়া। ক্যামেরার সামনে বিস্ফোরক কথা বললেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, “সোমবার আমি বাড়িতে রান্না করছিলাম। ওদের বাড়িতে পার্টি হচ্ছিল। জানলা দিয়ে দেখি। মেয়েটা যখন যায়, আমি দেখতে পেয়েছিলাম। পার্টিতে ৫-৭ জন ছিল। ওরই সব বন্ধু। মেয়েটা আগে এসেছে এই বাড়িতে। ওদের মধ্যে ভালোবাসা ছিল। ছেলেটার বাবা তো ডন, আমার ছেলেকে মেরেছে, এই পাড়ায় কেউ মুখ খুলবে না ওর বাবার ভয়ে। ওরা বাবা তো ডন। কতজন পিস্তলের গুলি খেয়েছে। ছেলের কাছেও পিস্তল থাকে, বাবার কাছেও থাকে।”
অভিযুক্তের প্রতিবেশীরা কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছেন। মাটির ওলিগলিতে কয়েকজন অত্যুৎসাহীর ভিড় দেখা যাচ্ছে। গুঞ্জনে ব্যস্ত তাঁরা। তবে অপরিচিত মুখ দেখলেই তাঁদের মধ্যে দেখা গিয়েছে নিজেকে আড়াল করার আপ্রাণ প্রয়াস। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা কোথায়, প্রশ্ন শুনেই বলছেন তাঁরা, ‘কিচ্ছু বলতে পারব না।’ এবার পুলিশ প্রশাসন এলাকার ‘ডন’কে খুঁজে বার করতে পারবে কিনা, সেটাই দেখার।