অবতক খবর,সুমিত,১৮ এপ্রিল,কলকাতা: বাবুল সুপ্রিয় প্রধানমন্ত্রীর প্রিয়পাত্র ছিলেন একটা সময়। তাঁর রাজনীতিতে আসার কথাই ছিল না। কিন্তু একবার দিল্লি যাওয়ার পথে বিমানে বাবা রামদেবের সঙ্গে আলাপ হয় এবং রামদেব তাঁকে বিজেপিতে আসতে এবং প্রার্থী হতে অনুরোধ করেন। বাবুল রাজি হয়ে যান। বাকি তো ইতিহাস। প্রচারে এসে ২০১৪ এ নরেন্দ্র মোদী আসানসোলের মানুষের কাছে বলেছিলেন ‘মুঝে বাবুল চাহিয়ে’। জিতে আসার পর বাবুলকে মন্ত্রী করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
দ্বিতীয়বার ২০১৯ এ জয় পাওয়ার পর ফের মোদী মন্ত্রিসভায় বাবুলের সুযোগ আসে। ২০২১ এর বিধানসভায় বাবুলকে বিজেপি টালিগঞ্জ কেন্দ্রে প্রার্থী করে। এবার বাবুল বিরাট ভোটে হেরে যান। বাবুল পরে জানিয়েছিলেন, তাঁকে কী কারণে অরূপ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে প্রার্থী করা হয়েছিল, তা নাকি তাঁর অজানা। কারণ অরূপকে ওই অঞ্চলে হারানো অসম্ভব। এরপরই তাঁর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব চলে যায়। ক্ষুব্ধ বাবুল দল ছাড়েন এবং রাজনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে জানান, কোথাও যাচ্ছি না। কিন্তু কয়েক দিনের মধ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে আসেন। পরে বালিগঞ্জে প্রয়াত সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের ছেড়ে যাওয়া আসনে দাঁড়িয়ে জিতে।
এবার তিনি তৃণমূলের বিধায়ক। কিন্তু এটাই কি তাঁর একমাত্র পরিচয় থাকবে? গুঞ্জনে শোনা যাচ্ছে, আসন্ন রাজ্য সরকারের বাণিজ্যমেলা শেষ হলে নাকি ফের মন্ত্রিসভায় রদবদল হতে পারে। এমনিতেও সুব্রত মুখোপাধ্যায় বা সাধন পান্ডের মৃত্যুতে মন্ত্রিসভা থেকে দুটি স্থান কমেছে। নিয়ম অনুসারে ফের নতুন দুই মন্ত্রীকে স্থান দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। রদবদলও হতে পারে কোনও দফতর বা একাধিক দফতর। নতুন মুখ (New Fac কি আসতে পারে, এমন প্রশ্নই ঘুরছে রাজনৈতিক মহলে। প্রথমেই যে নামটি গুঞ্জনে রয়েছে, তা বাবুল সুপ্রিয়। বাবুলের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অভিজ্ঞতা রয়েছে। কাজেই তাঁকে মন্ত্রিসভায় দেখা যেতেই পারে। বাবুল কিন্তু দল ছেড়ে বলেছিলেন, তিনি প্রথম এগারোর খেলোয়াড়। হয়তো সেই ভবিষ্যৎবাণী সত্যি হতে চলেছে।