অবতক খবর,২৯ এপ্রিল: কাঁচরাপাড়া পৌরসভার নবনির্মিত বোর্ড গঠিত হয়েছে। কাঁচরাপাড়া পৌরসভা পরিচালনের নতুন চেয়ারম্যান কমল অধিকারী। পৌর পরিষেবা তদারকিতে নেমেছেন। পৌরসভা যে নাগরিক পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত এটি তিনি প্রমাণ করে দিতে চান। ইতিমধ্যে এই স্বল্পকালীন সময়ে পৌরসভা পরিচালন পদ্ধতিতে পৌরকর্মীদের মধ্যে নিশ্চিত সাড়া জাগিয়েছেন তিনি, এমন সংবাদ আমাদের কাছে রয়েছে। তিনি পৌর কর্মীদের সঙ্গে পুরাতন পরিচালন পদ্ধতি ও নতুন পরিচালন পদ্ধতির মধ্যে নিশ্চিতভাবে একটি সংস্কার আনতে চান এবং পৌর কর্মচারীদের কাজে উৎসাহ,আগ্ৰহ বাড়ানোর জন্য তিনি সচেষ্ট বলে পৌর কর্মচারী সূত্রেই জানা গেছে।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই তিনি পৌর দুর্নীতির ‘কান্ডে’ একটা ঝাঁকুনি দিয়েছেন। পরবর্তীতে এর ‘শেকড়’ কোথায় সেই মূল উৎপাটনে সচেষ্ট হবেন বলে পৌরকর্মীদের মধ্যে এমনই ধ্যানধারণা জন্মেছে বলে জানা গেছে।
সূত্রের খবর, পৌরসভায় গাড়ি ভাড়া খাটানোর ব্যবসায় কয়েকজন পৌর কর্মী জড়িয়ে পড়েছেন। ইতিমধ্যেই অবৈধ বিল করে বিশাল অঙ্কের অর্থ নয়ছয়ের সঙ্গে অভিযুক্ত তিনজন পৌরকর্মী যারা ক্যাজুয়াল কর্মী এমনই জানা গেছে তাদের বসিয়ে দেওয়া হয়েছে, এমনই খবর। জানা গেছে,এই তিন ক্যাজুয়াল পৌরকর্মী তাদের নিজেদের যে গাড়ি রয়েছে সেটা পৌরসভার কাজে ভাড়া খাটাতেন এবং এর জ্বালানি খরচ মারফত মাসিক লক্ষ লক্ষ টাকার বিল করতেন এবং এই গাড়ি ব্যবহার করে তারা নিজেদের পারিবারিক সুখ স্বাচ্ছন্দ্যও উপভোগ করতেন। বেড়াতে যেতেন, শপিং মলে সওদা করতে যেতেন।
বর্তমানে নতুন যে চেয়ারম্যান এসেছেন তাঁর চালচলন,তাঁর কর্মপদ্ধতি দেখে এরা এই চোররূপী কামাইবাজরা নড়েচড়ে বসেছেন। দেখা যাচ্ছে,পুরাতন পৌরসভা পরিচালনের সময়ে বিগত মাসগুলোতে তারা যে লক্ষ লক্ষ টাকার বিল করতেন,সেটি এখন হাজারে নামিয়ে এনেছেন। ফলত বোঝা যাচ্ছে যে,একটি চক্র যুক্ত ছিল এই আর্থিক বেনিয়মের সঙ্গে। অ্যাকাউন্টস যদি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করা হয় তাহলে হয়তো কেঁচো খুঁড়তে সাপ বেরিয়ে যাবে। মানুষের কর দেওয়া কোটি কোটি টাকা পৌর নাগরিক স্বার্থে,পরিষেবা স্বার্থে ব্যবহৃত না হয়ে এই সমস্ত ঠকবাজ পৌরকর্মীরা তুলে নিয়েছেন।
এই ক্যাজুয়াল কর্মীরা নিজেরাই গাড়ি কিনে দুটো থেকে চারটি গাড়ি পৌরসভায় খাটতো। পৌরসভার সময়ের পরে এই গাড়িগুলি তাদের ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার হতো। এরা এই গাড়ির ভাড়া খাটিয়েই পৌরসভা থেকে প্রতিমাসে কয়েক লক্ষ টাকা তুলে নিয়েছেন। শুধু তাই নয়,এই অর্থ পৌরসভাতেই তাদেরকে ভাগ দিতে হতো, এমনই অভিযোগ এবং সূত্রের খবর।
এই গোটা বিষয়টি পৌরবোর্ড গঠন হওয়ার পর যে বোর্ড মিটিং হয়েছিল তাতে ধরা পড়ে। যেখানে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যান কমল অধিকারী, ভাইস চেয়ারম্যান শুভ্রাংশু রায়,তিনজন সিআইসি সহ অন্যান্য আধিকারিকরা।
বিস্তারিত আসছে,চোখ রাখুন অবতক খবরে।