অবতক খবর,৩০ এপ্রিল,মৃন্ময় লাহিড়ী,নদীয়া: ভূবন বাদ‍্যকরের কাঁচা বাদাম মুখে মুখে প্রচারিত হলেও, দামের উপর খুব বেশি প্রভাব পড়েনি। কিন্তু কাঁচা আম নিয়ে নিঃশব্দে চলছে বিপ্লব। উৎপাদনের নিরিখে এবছর অফ সিজন আমের। গোটা বাগানে মাত্র দু’চারটে গাছে আম, তার জন্য পাহারাদার, আমপারা পাকানোর জন্য কার্বাইড দিয়ে জাগ দেওয়া শ্রমিকের খরচ চালাতে পারছেন না অনেক বাগান মালিকরাই। ঝড় জল বৃষ্টি তো আছেই। পাকানোর কাজটা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ তাই ইদানিং কাঁচা আম বিক্রি করে দেওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। আম উৎপাদনে মালদা মুর্শিদাবাদের পরে নদিয়া অন্যতম। কাঁচামিঠা বোম্বাই, হিমসাগর, ল্যাংড়া, সরিখাস, তোতামুখি এ ধরনের নানান প্রজাতির আম জ্যাম জেলি আচার চাটনিতে ব্যবহারের জন্য জেলা পেরিয়ে শিলিগুড়ি কোচবিহার বাঁকুড়া বীরভূম পৌঁছাচ্ছে রাজ্য পেরোনোর উদ্দেশ্যে। কলমের কিছু প্রজাতির আম পাকানোর জন্য থাকলেও, মাটির আম প্রায় সমস্ত শেষ হয়ে যাচ্ছে কাঁচার চাহিদাতেই।

ভালো দাম পেলেও আমদানি একেবারে তলানিতে ঠেকেছে এমনটাই মনে করছেন আম ব্যবসায়ীরা। আমের আড়ৎদার অনুপ কুন্ডু জানান, অফ সিজন হলেও এত কম উৎপাদন বিগত 10 বছরের ব্যবসার অভিজ্ঞতায় দেখিনি কখনো। অপর এক আম ব্যবসায়ী লক্ষণ সরকার জানান, কাঁচাতেই 25 টাকা বৈশাখ মাসের মাঝে। তিনি আন্দাজ করছেন পাকা আম স্থানীয়দের জন্য থাকবে না এবার। রাজ্য এবং রাজ্যের বাইরে বিপুল চাহিদা মেটাতে গিয়ে অগ্নি মূল্য হতে পারে পাকা আম। তাহলে কি আম রসিক বাঙালিদের আম তৃপ্তি এবারে প্রশ্নচিহ্নের মুখে?

র রিপোর্ট, অবতক খবর ,