অবতক খবর,৩ মে,কলকাতা,সুমিত: সোমবার কলকাতার রাজপথে বিজেপির মহামিছিল। কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছিল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সংকল্প মিছিল। রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা ও গণতন্ত্র বাঁচানোর ডাক দিয়ে পথে নামে বিজেপি। এদিন সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ পর্যন্ত এই মিছিলে পা মেলান বিজেপি নেতৃত্ব। মিছিলে দেখা গিয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দিলীপ ঘোষ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অগ্নিমিত্রা পল রাহুল সিনহা প্রমুখকে। তৃণমূল সরকারকে ব্যঙ্গ করে হাতে চপ মুড়ি নিয়ে মিছিলে সামিল হন বিজেপি কর্মীরা।
এদিন মিছিলের শেষে সভামঞ্চ থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। তিনি বলেন যে রক্তাক্ত অধ্যায় ২ মে দুপুর বারোটার পর থেকে সূচিত হয়েছিল তার তালিকা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। এই ধরনের অত্যাচার বিগত কোনও নির্বাচনে বাংলার মানুষ দেখেননি। কেবল বিজেপি কর্মী নয়, আদিবাসী বিশেষ করে গ্রামের লোকেদের বাড়ি-ঘর ছাড়তে বাধ্য করেছিল এই সরকার এবং তাদের দলদাস পুলিস। ২৫ হাজার দোকান এবং ঘর লুট করেছে। ৫৬ জনের বেশি কর্মকর্তা সমর্থক আত্মবলিদান করেছেন। শত শত বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা দ্বিতীয়বার যাতে না ঘটে তার জন্য ঐক্যবদ্ধ লড়াই করতে হবে। পিছিয়ে এলে চলবে না।
সভামঞ্চ থেকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সভাতে উপস্থিত সকলকে কুর্নিশ জানিয়ে বক্তৃতা শুরু করেন। তৃণমূল কংগ্রেসের তৃতীয়বারের হ্যাট্রিক জয়কে তীব্র কটাক্ষ করে বলেন, এই লড়াই চলবে। ততক্ষণ এই লড়াই চলবে যতক্ষণ না পর্যন্ত ১৪ তলা থেকে এই অত্যাচারী শাসককে টেনে নামিয়ে বঙ্গোপসাগরে ফেলে দিচ্ছেন। পুলিস যদি নিরপেক্ষ হত তৃণমূল কংগ্রেসের সরকারকে ঘরে ঢোকাতে বিজেপির ১৫ মিনিটও লাগবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।